রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে বেতন ভাতার দাবিতে রামগড় পৌরসভায় নাগরিক সেবা বন্ধ

fec-image

রাস্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশনের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে রবিবার ( ১৪ জুলাই) থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হযেছে।

বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের সব পৌরসভার মত রামগড় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীও এ কর্মসূচি পালন করছেন। এতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, নাগরিক সনদপত্র, জন্ম ও মৃত্যুসনদ প্রদানসহ পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

এদিকে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার দেশের অন্যান্য পৌরসভার মত রামগড় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে তারা ঢাকায অবস্থান করছেন বলে জানান।

পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা জানান, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে তারা প্রায় দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন। দেশের সংবিধান অনুযায়ী পৌরসভা রাষ্ট্রীয় তথা সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। শহরকেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্র্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সড়ক আলোকিত করা এবং বিভিন্ন সনদ প্রদান ও নিববন্ধনসহ অন্তত: ২০ ধরনের সেবা নাগরিকদের দিয়ে থাকে।

আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভার নিজস্ব আয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও দেশের ৯০ ভাগ পৌরসভার পর্যাপ্ত আয় বা রাজস্ব না থাকায় বর্তমানে স্থান ভেদে ৩ থেকে ৬৬ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে।

রামগড় পৌরসভায় দীর্ঘ ২৮ মাস বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এ পৌরসভায় নিয়মিত ও অনিয়মিত কর্মকর্তা- কর্মচারি রয়েছেন ২৭ জন।

নেতারা আরও জানায়, এ সব সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটি থোক বরাদ্দের মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এটি কোন স্থায়ী সমাধান নয়। স্থানীয় সরকারের অধীন অপর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ৭৫ ভাগ এবং জেলা পরিষদের জন্য শতভাগ বেতন-ভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মেটানো হয়। তাহলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ক্ষেত্রে ভিন্ন হবে কেন? তারা বলেন, তাদের এ ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন, রামগড় পৌরসভা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন