রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

 
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে  সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

গত ৫ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় ভিড় করছে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি দল। টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী ১টি দল। স্থানীয় প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।

বিজিবির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবী করা হলেও গত কয়েক দিনের সহিংসতায় প্রায় ৭ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাটেকনাফ, হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, কাটাখালী, পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, ঘুমধুম, জলপাতলী, রেজু আমতলী, নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সীমানা অতিক্রম করে টেকনাফ মুছনি, বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

গতকাল ঘুমধুম সীমান্তের ৩২ নাম্বার পিলার দিয়ে ২৪০ জনসহ  সহিংসতার পর থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে  প্রায় সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়েছে।

সর্বশেষ গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ২ দালালকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পানবাজার এলাকা থেকে এসব রোহিঙ্গা দালালদের আটক করা হয়।

ঘুমধুম বিওপি কমন্ডার মো. রফিক পার্বত্যনিউজ ডটকমকে বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৪ ঘন্টা বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আগের তুলনায় প্রায় ৫ গুন জনবল (সৈনিক) বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও সর্বশেষ সীমান্তের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গত ২৭ আগস্ট ঘুমধুমে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক আবুল হোসেন। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন সীমান্তের পরিস্থিতি মোকাবেলায় শীঘ্রই ১৫ হাজার অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন