Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

‘রোহিঙ্গা’ না বলার ব্যাখ্যা দিলেন পোপ ফ্রান্সিস

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার সফরের সময় নেপিদোতে দেওয়া ভাষণসহ বিভিন্ন আলোচনায় দেশটির নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ‘রোহিঙ্গা’ না বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্বে ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার পর প্লেনে সাংবাদিকদের তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তিনদিনের সফরে মিয়ানমার থেকে সরসারি ঢাকা এসে পৌঁছান পোপ।

সাংবাদিকদের পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আলোচনার পথ রুদ্ধ না করে মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের কাছে তিনি তার অবস্থান ব্যক্ত করতে চেয়েছিলেন।

‘আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমারের নেতাদের কাছে পরিষ্কারভাবে আমার বার্তা আমি পৌঁছাতে পেরেছি।’

বিশেষ প্লেন পাপাসে পোপ বলেন, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আমি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকারের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে ছিলাম।

এ সময় গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা নর-নারীর সঙ্গে দেখা করার আবেগঘন মুহূর্তের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আমি জানতাম, আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের সময় ওই শব্দটা (রোহিঙ্গা) উচ্চারণ করলে তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী) মুখের ওপর আলোচনার দ্বার রুদ্ধ করে দিত। প্রকাশ্যে বক্তব্যের সময় আমি পরিস্থিতির বর্ণনা করেছি, বলেছি কেউ নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। আমি এসব বলে একটা পরিবেশ তৈরি করেছি যেন ব্যক্তিগত বৈঠকগুলোতে এ সম্পর্কে আলোচনা গভীরে নিয়ে যাওয়া যায়।

‘মূল বক্তব্যটা পৌঁছে দেওয়াকেই আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে অন্যপক্ষের প্রতিক্রিয়াও শুনতে হবে।’

গত ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার সফরকালে প্রকাশ্য ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপ ফ্রান্সিস। খবরে বলা হয়, স্থানীয় রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতাদের পরামর্শেই তিনি রোহিঙ্গা ব্যবহার করেননি।

তাদের মধ্যে শঙ্কা ছিলো, এমনটা হলে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাও দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হতে পারে।

এদিকে ঢাকা ছাড়ার পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর শেষে দুই দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রিয় বন্ধুরা। আমায় শুভেচ্ছা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। আপনাদের ওপর আমার শান্তি ও ঐশ্বরিক আশীর্বাদ রইলো।’

 

সূত্র: বাংলা নিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন