Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশ এখন চায় শরণার্থী ফেরত নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করা হোক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ তাদের ক্ষোভ হতাশা খোলাখুলি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে।

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলাদেশের সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক নিরাপত্তা পরিষদে খোলাখুলি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার ক্রমাগত ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে চলেছে এবং ‘নানা বাধা’ তৈরি করছে। ফলে, উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে ‘একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় ফিরতে চায়নি।’

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে আরো বলা হয়েছে যে এখন আর একজন শরণার্থীও নেওয়া সম্ভব নয়।

ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসির কাছে স্বীকার করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভূমিকায় তারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ।

মি. আলম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপর সত্যিকারের চাপ তৈরির আর কোনো বিকল্প নেই।

“মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক প্রয়াসের নতুন উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে…কিন্তু মিয়ানমারকে চাপ না দিলে, বাধ্য না করতে পারলে এই সমস্যার সমাধানে কোনো অগ্রগতি হবেনা।”

কেন তারা দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টায় আস্থা হারাচ্ছেন- এই প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ঢাকার সাথে এবং জাতিসংঘের দুটো সংস্থার সাথে প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি করলেও, মিয়ানমার কার্যত সেসব চুক্তিকে তোয়াক্কা করছে না।

“চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরির যেসব শর্ত ছিল যেমন নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা তৈরি, একই গ্রামে তাদের ফিরতে দেওয়া, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা – এগুলো তো হচ্ছেনা।”

“মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নভেম্বরে এসে এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু গত তিন-চার মাসে তো কোনো উদ্যোগ দেখছি না।”

মিয়ানমারের সরকার সবসময় বলে, তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু বাংলাদেশই তাদের পাঠাচ্ছে না। রয়টার্স বার্তা সংস্থা বলছে, বৃহস্পতিবারও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকেই তারা শরণার্থী ফেরত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু জাতিসংঘ পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।

কীভাবে মিয়ানমারের ওপর বিশ্বাসযোগ্য চাপ তৈরি করা সম্ভব?

এই প্রশ্নে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন – নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি সদস্য দেশের মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি হলে মিয়ানমার চাপ বোধ করবে।

কিন্তু চীন এবং রাশিয়া তো এখনও মিয়ানমারের ওপর বড় কোনো চাপ তৈরিতে প্রস্তুত নয় – বিবিসির এই প্রশ্নে বাংলাদেশের মন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, দ্বিপাক্ষিক-ভাবে এই দুই দেশের সাথে বাংলাদেশ দেন-দরবার করার চেষ্টা করছে।

“তারা তো কখনই বলেনি যে রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের কোনো সমস্যা নয়, তাদের কথা মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সমস্যা গভীর, ফলে সময় দিতে হবে …আমরা তো আর্ম টুইস্ট করতে বলছি না, আমরা তাদের বলছি মিয়ানমারে কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকলে তা সমাধানে তারা সাহায্য করুক।”

তবে গতকালও নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়া তাদের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে। চীনা দূতকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে চীন মনে করে রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা এবং সমাধান তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন