লামায় খাতা মূল্যায়ন না করেই ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ

pic-ex-copy

লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নানান অনিয়মের কারণে অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য, গৌরব ও সম্মান হারাতে বসেছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, মূল্যায়ন, প্রাক প্রস্তুতি, সিলেবাসের ধারাবাহিকতা ও অগ্রগতি মান নির্ণয়ের জন্য অর্ধবার্ষিক বা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মেধা যাচাইয়ের জন্য অনুষ্ঠিত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ২০১৬ এ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলেও শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা না কেটে মনগড়া নম্বর দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। পরীক্ষার খাতা কেটে যদি মান যাচাই না করা হয় তাহলে প্রতিকী পরীক্ষার কি প্রয়োজন আছে বলে জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ২০১৬ এ ক-খ শাখা মিলে ১৪০ জন ছেলে-মেয়ে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে। কিন্তু উক্ত বিষয়ের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদ কোন খাতা না কেটে মনগড়া ১৪০ ছাত্র-ছাত্রীকে নম্বর দিয়ে নম্বর ফর্দ জমা দেন। প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার খাতা স্ব-স্ব ক্লাসে পূণ: যাচাইয়ের জন্য শিক্ষার্থীকে দেখতে বললে বিষয়টি জানাজানি হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে শারীরিক শিক্ষা বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নুরুল ইসলাম ফরিদকে মুঠোফোনে কল করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে পরীক্ষার খাতাগুলো জব্দ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। এটা গুরুতর অন্যায়। অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন