শান্তিচুক্তির ১০০ভাগ যদি কেউ বাস্তবায়ন করে সেটা আওয়ামী লীগ সরকারই করবে– বীর বাহাদুর ঊশৈসিং

রাঙামাটিতে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৪

Rangamati Pic-21-06-14-1

 নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং বলেছেন, যদি কেউ পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১০০ভাগ বাস্তবায়ন করে সেটা আওয়ামী লীগ সরকারই করবে। চুক্তির এসব বাস্তবায়নের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সহযোগিতা সহমর্মিতা দ্বারা এ চুক্তি বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

শনিবার ২১ জুন শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, ও বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৪ উদ্বোধন শেষে রাঙামাটি পৌর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি নির্বাচিত সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ৩৩৩নং মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক নরেশ চন্দ্র বারই ও বন সংরক্ষক মোঃ আবু হানিফ পাটোয়ারী প্রমূখ।

সকালে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রসাশকের কার্যাালয়ে বৃক্ষ রোপণ শেষে পৌরসভা প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে ফেস্টুন ও কবুতর উড়েয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শণ করেন। বৃক্ষমেলা উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু, শান্তি প্রতীক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই গাছ আমাদের সকলের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকে। তিনি বলেন, বৃক্ষ কারো সাথে বেইমানী করেনা, গাছ কখনো বলেনা আমি আওয়ামী লীগ আমি বিএনপি বা আমি পাহাড়ী আমি বাঙ্গালী। বৃক্ষ রোপন করতে কোন দিবসের প্রয়োজন হয়না। আমাদের প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর গাছ লাগানো প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সরকারী যেসব জায়গা রয়েছে যেখানে নিঃকণ্টক কোন জমিজমার ভেজাল নেই সেসব জায়গায় সামাজিক বনায়নের জন্য নির্ধারণ করতে হবে। আর বনায়নে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরসন করে আমাদের নবুজ বনায়নে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সেগুন গামারীর পাশাপাশি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা সংরক্ষণ ও রোপন করতে হবে। বাড়ীর আশেপাশে সঞ্চয়ী মনোভাব নিয়ে ফলজ ও বনজ চারা রোপন করলে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। তিনি বলেন, ফরমালিনের এই যুগে আমরা যদি বাড়ীর আঙ্গিনায় অনন্ত একটি করে ফলের চারা রোপন করি তাহলে নিঃসন্দেহে ফরমালিনমুক্ত ফল আমরা খেতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, দেশের এক দশমাংশ জায়গা হচ্ছে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের পাহাড় ও সমতল জায়গায় বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজ বনায়র করা গেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা নয় সম্পদে পরিনত হবে।

সভার শেষে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশেসিং এমপি রাঙামাটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের হাতে গাছের চারা বিতরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্যনিউজ, বৃক্ষরোপণ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন