শান্তিচুক্তি নিয়ে পাহাড়ে অশান্তি করলে চুক্তি করা বাতিল হবে- মে. জেনারেল ইব্রাহিম বীরপ্রতীক

বান্দরবানে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলন: নতুন কমিটি গঠন

Bandarban Bangali porisod pic- 23.5

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান:
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মু. ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেছেন, সরকার শান্তিচুক্তি করেছে পাহাড়ের সাধারণ জনগন শান্তিতে বসবাসের জন্য। চুক্তির পরও পাহাড় অশান্ত রয়েছে। পাহাড়ে চলছে হত্যা, গুম, খুন ও চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির পরও কতিপয় সন্ত্রাসীরা অধিকারের নামে পাহাড়কে অশান্ত করে  রেখেছে। সন্ত্রাসীরা যদি পাহাড়কে অশান্ত করে রাখে সরকার যে কোন সময় চুক্তি বাতিলও করার ক্ষমতা রাখে। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু মঞ্চে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যন্যদের মাঝে বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আলকাস আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইয়াকুব আলী চৌধুরী, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সওরয়ার জামান, বান্দরবান নাগরিক পরিষদের সভাপতি আতিকুর রহমান, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের বিদায়ী জেলা সভাপতি কামরান ফারুক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথি বলেন, চুক্তি শান্তিচুক্তি কে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করতে লিপ্ত রয়েছে একটি গোষ্ঠী। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গেরিলা নেতাদের সাথে অনেক আলোচনা ও বৈঠক করেছি। তার ধারা বাহিকতায় ১৯৯৭সালে ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেরিলা নেতা সন্তু লারমা সাথে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। কিন্তু এই শান্তিচুক্তি সস্পাদনের পর একটি গোষ্ঠী চুক্তির অপব্যাখ্যা করে পার্বত্য এলাকা আবার অশান্ত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যুগ যুগ ধরে ভূমি জরিপ বন্ধ রয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি জরিপ কার্যক্রম চালু করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন,দীর্ঘ ২৫বছর যাবৎ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি পার্বত্য জেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করে এবং এই পদে বাঙ্গালীদের অগ্রাধিকার দিয়ে জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচনের দাবী জানান তিনি।

অনুষ্ঠান শেষে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়। আব্দুল কাইয়ূমকে সভাপতি, মো. রিদুয়ানুল হককে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন