শিক্ষায় এগিয়ে মোস্তফা, সম্পদে সেতারা সব দিকেই পিঁছিয়ে আলমগীর
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোস্তফা জামাল, জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত সেতারা বেগম সম্পদে এবং সবদিকে পিছিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমগীর।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা জামাল এইচএসসি, সেতারা বেগম এসএসসি ও মো. আলমগীর স্ব-শিক্ষিত।
এছাড়া পেশায় মোস্তফা জামাল কৃষি ও ব্যবসা, সেতারা বেগম গৃহিনী ও মো. আলমগীর কৃষি।
তবে কোন প্রার্থীর দ্বায়-দেনা বা ঋণ নেই বলেও হলফ নামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফনামা সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী মোস্তফা জামালের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে টিভি ১টি, ফ্যান ৪টি, ফ্রিজ ১টি, মোবাইল সেট ৩টি যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্রের মধ্যে আছে সোফাসেট ১টি, আলমারি ২টি, খাট ২টি, চেয়ার ৬টি, আলনা ২টি যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৭০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণ অলংকার রয়েছে, যার মূল্য দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ০.৫০ শতাংশ জমি, সেমি পাকা ১টি দোকানের কথা উল্লেখ করা হয়।
কৃষিখাত, বাড়ি-দোকান ভাড়া ও ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেন মোস্তফা জামাল।
হলফনামার তথ্য মতে, সেতারা বেগমের নগদ টাকা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয় আমানত, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র সহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ২শ’ ৪০ টাকা।
এর মধ্যে ৩০ ভরি স্বর্ণের মূল্য ৯০ হাজার টাকা। এছাড়াও তার স্বামীর নামে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রার্থীর নিজ নামে স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৭.২০ একর কৃষি জমি। যার মূল্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তার স্বামীর নামে ৩০ একর কৃষি ও অকৃষি জমি রয়েছে যার মূল্য ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪ গন্ডা প্লট মূল্য ৫৮ হাজার ৭শ’ ৯ টাকা, চট্টগ্রামের সিডিএতে প্লট মূল্য ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও জামালখানে ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের বাড়ি মূল্য ৩২ লাখ টাকা।
নির্ভরশীলদের নামে ৪ কাঠা জমি মূল্য ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা, দালান ৭৫ লাখ টাকা, ১৪.৫ প্লট মূল্য ৬ লাখ, ৫ কাঠা জমি ২ লাখ ১ হাজার টাকা, ৮ একর জমি ৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।
যৌথ মালিকানায় ০.৮০ জমির মধ্যে ০.৪০ একর জমির মালিক। কৃষিখাত, বাড়ি-দোকান ভাড়া ও গরু খামার থেকে বার্ষিক আয় ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা।
এছাড়া প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বছরে আয় ৯ লাখ ৪২ হাজার ২শ’ টাকা বলে উল্লেখ করেছেন সেতারা বেগম।
অপরদিকে তুলনামূলকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমগীর সব দিক মিলিয়ে অনেক পিঁছিয়ে। হলফনামায় তার কোন অস্থাবর সম্পদ নেই, এছাড়া স্ত্রীর নামে ও নির্ভরশীলদের নামেও কোন অস্থাবর সম্পদ নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে ০.২০ শতাংশ জমি। কৃষিখাত ও ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকা বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন মো. আলমগীর।
প্রার্থীদের মধ্যে মোস্তফা জামাল ও মো. আলমগীরের নামে কোন মামলা থাকার কথা উল্লেখ না করলেও সেতারা বেগমের নামে একটি মামলা চলমান আছে বলে হলফনায় উল্লেখ করা হয়েছে।