সন্ত্রাসী ধরতে খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর চিরুনী অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:
অবৈধ অস্ত্র উদ্বার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ও এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় রবিবার থেকে খাগড়াছড়িতে যৌথ চিরুনী অভিযান শুরু হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ অভিযানে থাকবে। যত দিন সন্ত্রাস নির্মল করা সম্ভব হবে না ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আধিপত্য বিস্তারের জেরে শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়িতে স্বনির্ভর বাজারে বিবদমান দুই পাহাড়ি গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে ৬জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানায়, সংঘর্ষের হতাহতের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি।
শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে তিনি জানান। ময়না তদন্তের পর তিনটি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও অপর তিনটি লাশ নিতে এখনো কেউ আসেনি। ইউপিডিএফ(প্রসীত)গ্রুপ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি সভাপতি তপন চাকমা, এল্টন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুবফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি পলাশ চাকমার লাশ খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইউসুফ আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।