সন্ত্রাস প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে পুলিশের আহ্বান

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

মানিকছড়িতে কমিউনিটি পুলিশিং ও ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে এবং এ অঞ্চলের নিরব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে সবাইকে একযোগে ওই সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থেকে সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ এবং পুলিশিং কাজে সহযোগিতা করলে যেকোনো অপরাধ, অপকর্ম, বন্ধ করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের ধর্ম ও কর্ম।

বৃহস্পতিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় মানিকছড়ি থানা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ ও ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে উপজেলা টাউন হলে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান এর পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এম সালাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ¤্রাগ্য মারমা, সাবজোন কমান্ডার সামিউল মাসুদ, এএসপি সায়িদুল ইসলাম, এএসপি (সার্কেল) সৈয়দ মো. ফরহাদ, ও.সি (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান রাহেলা আক্তার, পুলিশিং কমিটি সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ.রাজ্জাক, সদস্য সচিব সজল বরণ সেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মো.শহীদুল ইসলাম মোহন, মো.শফিকুর রহমান ফারুক, ক্যয়জরী মহাজন, প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বাহার মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এম.এ. করিম, প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার দেব, মো. আতিউল ইসলাম, মো. বশির আহম্মদ, বিপ্লব চক্রবর্তী, হেডম্যান , কার্বারী , সাংবাদিক ও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যবৃন্দরা।

সভায় বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের অশান্তি হলো তৃণমূলে নিরব চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস, মাদক, ইয়াবা সেবন এবং বাল্য বিয়ে। তৃণমূলে এসব অপকর্মে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হলেও পুলিশ সবসময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সঠিক তথ্য না পাওয়ায় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দ্রুত পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। এছাড়াও আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধে, পুলিশিং কাজে সহযোগিতা করলে যেকোনো অপরাধ, অপকর্ম, দূর্বৃত্তায়ণ বন্ধ করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। মানুষের যান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের ধর্ম ও কর্ম।

সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এ অঞ্চলের নিরীহ মানুষ যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারে পুলিশ সেটি ভেবেই কাজ করছে। এখন প্রয়োজন সকল অপর্কমের বিরুদ্ধে তথ্য আদান-প্রদান। যাতে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা যায়। এখানকার সচেতন ও সুশীলরা সবসময় পুলিশকে সহযোগিতা করায় আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রয়েছে। এ জন্য সকলের প্রতি পুলিশ কৃতজ্ঞ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন