সরকারের সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত রেজু গর্জন বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বাইশারী প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরোয়ার কামাল। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়টি পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের শিক্ষাদানের অতীব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হলেও গেল বার জাতীয়করণে আওতায় পড়ে বিদ্যালয়টি সরকারি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে আজ অবধি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন ভাতাসহ সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনাহারে অর্ধাহারে শিক্ষকেরা ওই বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান দিয়ে আসছেন।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভাল ফলাফলসহ শতভাগ পাশ করে আসছে। শিক্ষকদের দীর্ঘকাল বেতনভাতা সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ এপ্রিল বিকাল ৩টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরোয়ার কামাল এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ বিদ্যালয়টি সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
ঐসময় বিদ্যালয়ে পাঠদানরত সহকারী শিক্ষক উকচাইন চাকমা ও সহকারী শিক্ষিকা পারভীন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যায়।
বিদ্যালয় পরিদর্শনকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরোয়ার কামাল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ বিদ্যালয়ের ফাইলপত্র পরিদর্শন, বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান যাচাই-বাছাইসহ অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনার কমিটির সভাপতি উপেন্দ্রলাল কারবারী বলেন, পরিদর্শনকালীন কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু শিক্ষক অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে আজ এই পর্যন্ত নিয়ে আসছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশের ন্যায় রেজু গর্জন বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও জাতীয়করণে আওতায় আসে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা বেতন ভাতার মুখ দেখেনি। তাই তিনিও তদন্ত পূর্বক শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেন বেতন পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়টির সকল কাগজপত্র যাচাই পূর্বক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হচ্ছে। অচিরেই সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনিও আশা প্রকাশ করেছেন।