সাংগু নদীতে বালু উক্তোলনে হুমকি মূখে হাসপাতাল
থানচি প্রতিনিধি:
নিরাপত্তা বাহিনির নাম ভাঙ্গিয়ে থানচিতে শংঙ্খ নদীর তীরবর্তী সাংগু সেতু নিচে ও উপজেলা সদর হাসপাতালের পশ্চিম পার দিয়ে ২/৩টা পয়েন্টে অবৈধভাবে দির্ঘ তিন মাস ধরে বালু উক্তোলন করছে। ফলে সাংগু সেতু ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি হুমকি মূখে পড়েছে বলেন স্থানীয়রা।
তারা জানান উপজেলা দুই একটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ পন্থা বালু উক্তোলন করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, থানচি উপজেলা একটি মাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতালের ঠিক পশ্চিমে সাংগু নদীর উপর বালুর চরের অবৈধ পন্থা বালির উক্তোলন করেই চলছে।
প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক যোগে বালির উক্তোলন করে থানচি বাজার ও বিভিন্ন এলাকা নিয়ে যাচ্ছে।
বালু উক্তোলনে সময় লট নং ৩০ এর ট্রাক ড্রাইভার জাকের হোসেন বলেন, আমাদের হুজুর হাবিব সাহেব অনুমতি ক্রমে এখান থেকে বালির উক্তোলন করছি। সরকারকে রাজস্ব দিয়েছে কিনা এবং প্রশাসনে অনুমতি আছে কিনা জানা নেই।
তিনি আরোও জানান, আমরা ৫টি ট্রাক প্রতিদিন একজনের ১৫ থেকে ২০টিপ লোড আনলোড করতে পারি ভাড়া হিসেবে প্রতি ঘনফুট ৩০ টাকা হারে ড্রাইভারকে দেই।
বালু উত্তলনের ফলে নদীর নাব্যতা শুকিয়ে যাচ্ছে পানির নিষ্কাশন, হুমকি মূখে পড়েছে থানচি উপজেলা এক মাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও সাংগু নদীর উপর নির্মিত সাংগু সেতুটি।
হাসপাতালের পাশ্ববর্তী আমতলী পাড়ার নিবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সাংগু নদীর তীর বর্তী এলাকায় থেকে বালির উক্তোলন আর ট্রাক ভর্তি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাঘাটে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করার পর্যন্ত বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বেপরোয়া ট্রাক চলাচল কারনে সাংগু সেতু আশ্বে পাশ্বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানে ধুলোবালির কারনে ভালভাবে ব্যবসা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম জানান, সরকারি ভাবে কোন প্রকার বালু মহাল না থাকলে ও সাংগু নদীর তীর বর্তী এলাকায় সম্পূর্ণ সরকারের মালিকানা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালু উক্তোলন করার সম্পূর্ণ অবৈধ তবে থানচি উপজেলা সরকারিভাবে অনেক জায়গা উন্নয়ন কাজ চলছে সেখানে বালির নিয়ে যেতে পারে। শ্রীগরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।