সীমান্তে মিয়ানমারের ভারী অস্ত্রসহ টহল জোরদার

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু সীমান্তে হঠাৎ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। অস্ত্র নিয়ে সীমান্তের কাটা তারের বেড়ার কাছে অবস্থান নিয়েছে তারা। ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা অস্ত্র বাংলাদেশের তাক করেছে বর্মী সেনারা। এতে করে সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, শূণ্যরেখার বাংলাদেশ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক অবস্থায় থেকে টহল জোরদার করেছে।

শূণ্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গারা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ৭টি ট্রাকে করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুমব্র সীমান্তের ওপারে কাটা তারের বেড়ার কাছে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। সীমান্তের বেড়া বরাবর বাঙ্কারগুলোতেও অবস্থান নিয়েছে বর্মী সেনারা।

রোহিঙ্গারা আরো জানান, বর্মী সেনাদের সাথে তাদের সীমান্ত রক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরাও পাহারা দিচ্ছে।
শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ জানান, সকাল থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাদের সাথে বিজিপির সদস্যদেরও দেখা যাচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

তবে এ অবস্থাতেও কোনো রোহিঙ্গা এখনো সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকেনি। রোহিঙ্গা আলী হোসেন ও এমদাদুল্লা জানান, বর্মী সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডের দিকে অস্ত্র তাক করে রেখেছে। এছাড়া, শূণ্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের দিকেও অস্ত্র ঘুরিয়ে রেখেছে তারা। তবে কেন হঠাৎ করে মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্য বাড়িয়েছে তা জানা যায়নি।

মঙ্গলবার তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিন নোবেল বিজয়ী নারী। তারা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে শূণ্যরেখার স্থান পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির বিচারের দাবিও তোলেন তারা।
তাদের সফরের একদিন পরই মিয়ানমার সরকার সীমান্তে তাদের সৈন্য সংখ্যা বাড়ালো।

এদিকে সকাল থেকে ১১ বার মাইকিং করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা শূণ্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন