১৭ তম বোমাং রাজার দায়িত্ব নিলেন প্রকৌশলী উ চ প্রু
১৭ তম বোমাং রাজার দায়িত্ব নিলেন প্রকৌশলী উ চ প্রু। চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল্লাহ্ রাজ প্রথা অনুযায়ী রাজার হাতে তরবারি তুলে দেন।
এর অগে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য রাজকুমার চহ্লাপ্রু জেমী বিভাগীয় কমিশনারের হাতে তরবারি তুলে দেন। বুধবার বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে রাজার অভিষেক উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদ সিদ্দিকি, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধী প্রিয় লারমা সন্তু লারমা, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বোমাং সার্কেলের হেডম্যান কারবারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন অনুষ্ঠানে।
রাজ সিংহাসনের দায়িত্ব নিয়ে নতুন রাজা বলেন, “জেলার শিক্ষা-কৃষি উন্নয়ন, ভূমিহীনদের সমস্যার সমাধান ও সামপ্রদায়িত সম্প্রীতি আরো সু-সংহত করাই হবে তার মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন সমস্যায় পিছিয়ে রয়েছে বোমাং সার্কেলের বাসিন্দারা। সবার মতামত নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানে চেষ্টা করা হবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এলাকার উন্নয়নে কাজ করা হবে।”
বোমাং সার্কেলকে নতুন রাজা প্রকৌশলী উ চ প্রু সুশাসনের মাধ্যমে জেলার উন্নয়নে নতুনত্ব আনবে এমটাই প্রত্যাশা করছেন সার্কেলের প্রজারা।
পার্বত্য চট্রগ্রামে সার্কেল চীফরা (রাজা) ভূমি ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় ও প্রথাগত সামাজিক বিচার আচারে সরকারকে সাহায্য করে থাকেন। ব্রিটিশ আমলের আগে ১৬১৪ সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী এই রাজপ্রথা চলছে বোমাং সার্কেলে।
সার্কেলের ১৪ তম রাজা মংশৈ প্রু চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৯৯৮ সালে দায়িত্ব নেন রাজরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য অংশৈ প্রু চৌধুরী। তার ১৪ বছরের শাসন আমলের পর ওই রাজার মৃত্যু হলে রাজ প্রথা অনুযায়ী ১৬ তম রাজা হন ক্যসাইন প্রু চৌধুরী। মাত্র আড়াই মাসের মাথায় তিনি মারা গেলে তার শূন্য পদের ভার পান প্রকৌশলী উ চ প্রু।