২০১২ সালের তিন মাসে ২০০ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল চুরি
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৪তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুস ছাত্তার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
একই সঙ্গে কল কম হওয়ার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও ভবিষ্যতে যাতে এ রকম না হয় সে জন্য তদারকি জোরদার করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল ছিল ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৯৫২ মিনিট এবং ডিসেম্বরে ছিল ১৩১ কোটি চার লাখ ১৬ হাজার ৫৬৯ মিনিট।
কিন্তু জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ইনকামিং কল ছিল ৯০ থেকে ৯৫ কোটি মিনিটের মধ্যে। এই তিন মাসের কল কম হওয়ার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না থাকায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এই তিন মাসে কল চুরি হয়েছে বলে বৈঠকে অভিযোগ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনাসহ টেলিযোগাযোগ স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে ২০০৯ সাল থেকে ৬২টির বেশি মামলা হয়েছে।
এ ছাড়া, ভিওআইপি উন্মুক্ত করার মাধ্যমে বৈধ পথে সহজে ও কম খরচে বিদেশ থেকে কল গ্রহণ ও কল করার সুযোগ দিতে ৮৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলেও কমিটি সূত্র জানা যায়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস ছাত্তার বলেন, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কম হওয়ার কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলের পরিমাণ বাড়াতে এবং চুরি বন্ধে তদারকি জোরদার করতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কমিটির সদস্য মোঃ আবদুল কুদ্দুস, মোঃ আবদুল ওদুদ, নজরুল ইসলাম বাবু ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।