৫০ হাজার টাকা জরিমানার পরও থামেনি শুক্কুর আলীর দাপট

গুইমারা প্রতিনিধি:

গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন টিলা হতে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গুইমারা উপজেলা প্রশাসন। এসময় পাহাড় কাটার দায়ে গুইমারা পাহাড় কাটার মূল হোতা মেহেদুল মাঝির ছেলে শুক্কুর আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই জরিমানা করার পরও থামেনি তার পাহাড় কাটা। প্রশাসনকে উপেক্ষা করে দাপটের সহিত কাটছে পাহাড়।

রোববার (২৭ মে) এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া। অভিযানে অবৈধভাবে টিলা হতে মাটি কেটে ট্রাক ভর্তি করার সময় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। এসময় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে শুক্কুর আলীকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ মোতাবেক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানার টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত ট্রাকটি গুইমারা থানার ওসি জনাব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এর জিম্মায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সময় পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে উক্ত স্থানের ব্রিজ এবং চলাচলের রাস্তা হুমকির সম্মুখীন। এদের বিরুদ্ধে সকলে সোচ্চার এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এভাবে মাটি কাটা ও বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গুইমারা উপজেলার অধিকাংশ পাহাড় কেটেছে শুক্কর আলী। তার নিজস্ব স্কাবেটর দিয়ে কাটা হয় এসব পাহাড়। এছাড়াও তার নিজস্ব বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ বালু ব্যবসা। সচেতন মহলের মতে ক্ষমতাধর এ চক্রটির কাছে প্রশাসন অসহায়। অন্যথায় এতসব কাণ্ডের পরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হতে শুরু করে সর্বমহলে অবহিত করা হলেও থামছেনা তাদের অপকর্ম।

জনমনে প্রশ্ন, শুকুরের এতো শক্তির উৎস কি?

উল্লেখ্য, এর আগে পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা স্বরজমিনে গিয়ে নির্মমভাবে পাহাড় কাটার ছবি সংগ্রহ করলে এ চক্রের মূল হোতা স্থানীয় মেহেদুল মাঝির ছেলে শুক্কর আলী দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি আব্দুল আলীকে প্রথমে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে গুইমারা বাজারে অবস্থিত নাজমা হোটেলে প্রকাশ্যে ভোরের কাগজ প্রতিনিধিকে নিউজ করলে দেখে নেয়ারও হুমকি দেন ক্ষমতাধর পাহাড় খেকো শুক্কুর আলী।

সে হুংকার দিয়ে বলে, আমিতো চর কেটে আনতেছি আপনাদের সমস্যা কোথায়। আমার মাটির গাড়ি কালো রাস্তা দিয়ে যায়, অবৈধ হলে দেখার জন্য প্রশাসন আছে, আপনাদের সমস্যা কোথায়?? কালো রাস্তা দিয়ে আমার গাড়ি কিভাবে যায় তা থানার ওসির কাছ থেকে জানার জন্য বলেছিলেন গণমাধ্যম কর্মীদের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন