অগ্নিকাণ্ডে গৃহহারা রোহিঙ্গাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উখিয়ার শফিউল্লাহকাটা ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-১ ব্লক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। এতে গৃহহারা ৬শ রোহিঙ্গা পরিবার অবশেষে ৪৮ঘন্টায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের।
সরজমিন বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা পুনরায় ক্যাম্পে ফিরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের জরুরী খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম বড় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জরুরী জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইওএম ৪৯০টি পরিবারকে জরুরী নন-খাদ্য আইটেম প্যাকেজ প্রদান করেছে। প্যাকেজের মধ্যে কম্বল, ফ্লোর ম্যাট, মশারি এবং একটি সোলার লাইট রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোও অস্থায়ী আশ্রয় সহায়তা পেয়েছে।
এছাড়াও আইওএম অন্যান্য মানবিক সংস্থার সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১৫০টিরও বেশি জরুরি তাবু তৈরি করেছে। উপরন্তু, ১৯০টিরও বেশি অস্থায়ী আশ্রয় সহায়তা কিট-টারপলিন, বাঁশ এবং দড়ি প্রদান করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে,” বলেছেন আইওএম-এর ডেপুটি চিফ অফ মিশন (জরুরি) নিহান এরদোগান।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশি-বিদেশী এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের খাদ্য, চিকিৎসা, ঘর থেকে শুরু করে সার্বিক সহায়তা দিয়ে গেলেও স্থানীয়দের কোন সহযোগিতা তারা করছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ স্থানীয় পরিবারকে ৭৫০০টাকা করে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, গত ৯জানুয়ারি সংঘঠিত অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের আনুমানিক ৪০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় তাৎক্ষণিকভাবে ৭হাজার ৫শ টাকা করে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ঘর নির্মাণের জন্য টিন, কাঠ বরাদ্দের ব্যাপারে এনজিও সংস্থা গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।