parbattanews

অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে স্পিডবোট-ডেনিশবোট, কুতুবদিয়া-মগনামা চ্যানেল পারাপারে ভোগান্তি

কুতুবদিয়া-মগনামা চ্যানেল পারাপারে সহসাই কমছে না ভাড়া। ফলে সাধারণ মানুষের দাবি রয়ে যাচ্ছে অপূরণ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল ) পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন ইজারাদার পরিচালনা করবেন জেটি ও পারাপার ব্যবস্থা। ঘাট পারাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে ডেনিস বোট ভাড়া ও মালামাল পরিবহণে আকাশ চুম্বি অর্থ নেয়া হয়। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘাটগুলো ইজারা দেন। গত দুই বছর করোনার প্রভাবের দরুণ ভাড়া নিয়ে ঘাটে যাত্রী টোল আদায়কারীদের সাথে দুর্ব্যবহার হর-হামেশাই হতো।

বড়ঘোপ স্টীমারঘাট -মগনামা পারাপারে ডেনিশ বোটে লকডাউনে ২ শত থেকে ৩ শত টাকা নেয়া হতো। পরে জনপ্রতি ৪০ টাকা ও স্পীটবোট ভাড়া ১০০ টাকা হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে ডেনিশবোট ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৩০ টাকা করা হলেও স্পীটবোট ভাড়া রয়ে যায় একশ টাকাই। পণ্য পারাপারে অধিক টাকা নেয়ার বিষয়ে ব্যবসায়িদের অভিযোগ নিত্যদিনের।

যাত্রী পারাপারে বোট ছাড়া নিয়েও রয়েছে ভোগান্তি। মগনামা থেকে সকাল ৮টার আগে কুতুবদিয়ায় আসার সুযোগ নেই। সেখান থেকে রাত ৯টায় বোট ছাড়া হলেও বড়ঘোপ ঘাটে ৭টার পর বোট নেই। অবশ্য রিজার্ভ যেতে চাইলে ৮০০-১০০০ টাকা গুণতে হবে যাত্রীদের। একই পরিস্থিতি মগনামা-দরবার ঘাটে। স্পীট বোটে যাত্রী পূর্ণ ( ৯ জন) না হলে ছাড়া হয়না ।

ঘাট পারাপার নিয়ে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে শিক্ষাবিদ মো. শাহাদাত হোছাইন কুতুবী বলেন, আগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হত। এবারে নতুন ইজারা নিয়েছেন আরেকটি পক্ষ। সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় পর্যায়ে ভাড়া প্রদান করে ঘাট পারাপার হতে পারে এমন প্রত্যাশা করেন নতুন ইজারাদারের কাছে। বিষয়টি প্রশাসনের দিক থেকেও বিবেচনা করার প্রত্যাশা করেন তিন।

এদিকে কয়েকদিন ধরে কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপারে বোট-স্পীট বোটের ভাড়া কমানোর দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাদের দাবি, পার্শবর্তী মহেশখালী থেকে কক্সবাজারে দূরত্ব ১০ কিলোমিটারে স্পীট বোট ভাড়া ৮০ টাকা। সেখানে কুতুবদিয়া চ্যানেল দৈর্ঘ্য আড়াই থেকে ৩ কিলোমিটারে ভাড়া ১০০ টাকা। এটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন যাত্রীরা। তারা নতুন বছরের দিন থেকেই নতুন ইজারাদার ও জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থায় ডেনিশবোট ও স্পীট বোটের ভাড়া কমানোর দাবি করেন।

বড়ঘোপ-মগনামা ঘাটের নতুন বাংলা সনের ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার জানান, আপাতত পূর্বের নিয়মেই ঘাট পারাপার হবে। যাত্রীভাড়া কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ঘাট পরিচালনা করে যাবেন। নতুন ভাড়া নির্ধারণে এখন পর্যন্ত কোন চিঠি উপজেলা নির্বাহী অফিসে আসেনি বলে অফিস সহকারী মৃদুল কান্তি দে জানিয়েছেন।

Exit mobile version