parbattanews

অনেকের ইচ্ছে একটা লাশ পড়ুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

‌‌আমরা কোনও ধরনের সংঘাত চাই না। অনেকের ইচ্ছে একটা লাশ পড়ুক। লাশ পড়লে ওরা খুব খুশি হয়। কারণ, তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঢাকায় ঘটার আগেই এটা ওয়াশিংটনে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের ইনানি বিচে আয়োজিত এক সেমিনারে নয়াপল্টনে বিএনপি কর্মী-সমর্থদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি ঢাকায় ঘটার আগেই ওয়াশিংটনে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের একটা কারণ হচ্ছে আমাদের একজন সাংবাদিক, উনি এটা উসকে দেন।

ওই সাংবাদিকের নাম জানতে চাইলে মন্ত্রী তা খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে সাংবাদিক, হোয়াইট হাউজ এবং জাতিসংঘ দুই জায়গাতেই ওনার এক্সেস আছে। বাংলাদেশে কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন করার ফলে উনি উত্তর দেন। উত্তরটা উনি (সাংবাদিক) লিখেও দেন। অনেক সময় উনি আগেভাগে লিখেও দেন, টেক্স করেন- আমি এটা প্রশ্ন করবো, আর এই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই বোধহয় ইউএসএ সো প্রম্পট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় যেকোনো সংঘাত না হোক। আমরাও সংঘাত চাই না। বিএনপি চাইলে হলের ভেতর কিংবা মাঠে সমাবেশ করতে পারেন। সরকার বাধা দেবে না। কারণ বাংলাদেশের সব মানুষের কথা বলার অধিকার আছে। প্রত্যেক দিন অপজিশনের লোক সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা বলছেন, বানোয়াট তথ্যও দিচ্ছেন। সরকার এজন্য কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। যে যা বলার বলছে, সরকার কাউকে বারণ করেনি। আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। খুব কম দেশেই বাংলাদেশের মতো এত ফ্রিডম আছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বুধবার পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের কয়েক শত নেতাকর্মীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানায় জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের চলাচলের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

Exit mobile version