অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ হতাশ


অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করার পাশাপাশি হতাশা ব্যক্ত করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতারা।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্রগ্রামের নিপীড়িত জাতি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
আন্দোলন–সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ২০২৪ সালের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেও আমাদের অংশগ্রহণ ছিল। আমাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম বাংলাদেশ একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ হোক। এই দেশে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সব জাতির মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের রাজনৈতিক অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার ভোগ করে একটা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলুক। কিন্তু বিগত সময়ে ইউপিডিএফের ওপর দমন–পীড়ন চালানো হয়েছিল। তাই ইউপিডিএফ সেই রেজিমের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে’।
শনিবার (১০ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইউপিডিএফের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে মাইকেল চাকমা এ কথাগুলো বলেন।
হতাশা জানিয়ে মাইকেল চাকমা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা রয়েছে, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারে কাজে হতাশা জানাতেই পারি।’
মাইকেল চাকমা বলেছেন, ইউপিডিএফের লক্ষ্য মানবিক, কল্যাণকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। এ জন্য সংগঠনটি সব সময় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ওপর শ্রদ্ধাশীল।
মাইকেল চাকমা বলেন, বাংলাদেশকে বহুজাতির বহু ভাষার একটি বৈচিত্র্যময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউপিডিএফ কাজ করে যাচ্ছে।
মাইকেল চাকমার নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন বৃহত্তর পার্বত্য চটগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ইউপিডিএফের সদস্য জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফের সদস্য সুনয়ন চাকমা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় ছিলেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সগসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।