parbattanews

অন্ধকার পার্বত্য এলাকা আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা : পার্বত্যমন্ত্রী

বান্দরবানের লামায় প্রায় ৯কোটি টাকার ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে জেলার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এসব উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

এর মধ্যে এলজিইডির ৪কোটি ৭২লক্ষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের বোর্ডের ১কোটি ৭৬লক্ষ এবং জেলা পরিষদের ১কোটি ২০ লাখ টাকার কাজ রয়েছে।

প্রকল্পগুলো হলো- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে বানিয়ারছড়া-গজালিয়া সড়ক প্রস্তকরণ, ফাইতং হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ, খেদারবাধঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে রাঙ্গাঝিরি জামে মসজিদ সংষ্কার, ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ ও সীমানা দেওয়াল নির্মাণ, ভাজাপাড়া মসজিদ নির্মাণ, চিউপতলী ধর্মচচরণ ত্রিপুরা পাড়ায় বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, ধুইল্লাছড়ি আবদুল কাদের জামে মসজিদ নির্মাণ, কামাইজ্যাঝিরি ত্রিপুরাপাড়ায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, চিউপতলী বাজারে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ এবং চিউপতলী শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ অফিস নির্মাণ।

জেলা পরিষদের অর্থায়নে চিবাতলীপাড়া বৌদ্ধ বিহার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভবন নির্মাণ, বড়ইতলী রাস্তার মাথা থেকে ফাইতং রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ ও ফাইতং ইউপি রাস্তার মাথা থেকে মগনামা ও ফুলবাড়ি আরাকান সড়ক পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।

পরে মন্ত্রী ফাইতং বাজার এলাকায় জনসভায় যোগ দেন। এসময় তিনি বলেন- এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। বর্তমানে তারই যোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রেজা রশিদ, লামা পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম, এলজিইডির সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিট নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত প্রমুখ।

Exit mobile version