parbattanews

অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা: স্থানীয়রা অসহায়!

নিজ দেশ মিয়ানমারে সেনা ও রাখাইন যুবকদের পাশবিকতা থেকে বাঁচতে সীমান্ত প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। বিশ্ব মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার বিভীষিকা দেখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেন। এভাবে নতুন করে ১৩ থেকে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় পেয়েছে। ফলে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে এখন ১৭ লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতি সংখ্যালঘু করে দিয়েছে স্থানীয়দের।

এরপরও সব রোহিঙ্গার খাদ্য-বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা জোরদারে নিরলস কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিদিন অব্যাহত আছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোতে ত্রাণ বিতরণ। অনেক পরিবারে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পাওয়া ত্রাণ খোলা বাজারে পানির দরে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা।

মানবিকতার কারণে এভাবে সহানুভূতি পেলেও আশ্রিত রোহিঙ্গারা তাদের হিংস্র রূপগুলো দিন দিন মেলে ধরছে। খুন,সড়ক ডাকাতি, ইয়াবা ও মানবপাচার, হামলা এবং বনভূমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনও। উখিয়ায় অসংখ্য স্হানীয়দের খুনসহ বাংলাদেশিকে প্রহার ও ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ডাকাতি কালে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা আটকসহ গত ২ বছরে অসংখ্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে মানবিক আশ্রয়ের আওতায় থাকা রোহিঙ্গারা।

তাদের অপকর্মে স্থানীয়রা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে। যোগাযোগের জন্য রোহিঙ্গারা অবাধে বাংলাদেশি নানা টেলিকম কোম্পানির সিম ব্যাবহার করতে পারায় অনায়াসে অপরাধ করতে পারছে বলে দাবি সচেতন মহলের।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শবর্তী এলাকার হাকিম, রহিম, মনির, হালাপুতিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের প্রতিদিনের কর্মকান্ড দেখে বিচলিত, কারণ তারা কোন ঘটনার তদন্ধ না করে বিক্ষুপ্ত আরচণ সৃষ্টি করে, এ সব কার্মকান্ড থেকে অচিরে কোন বড় ধরণের দুর্ঘটনার রুপ নিতে পারে, তাই রোহিঙ্গাদের প্রশাসন কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্থানীয় সুশীল সমাজ ও উপজেলা মানবাধিকার কর্মিরা জানান, মাত্রাতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের ভারে উখিয়া-টেকনাফ নুয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের চাপে স্থানীয় লোকজনদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের অপরাধ কর্মে বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠছে এলাকার পরিবেশ। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জীবন।

Exit mobile version