parbattanews

অপহরণের ১০দিনেও মিলেনি ইউপি সদস্য মংচিং মারমার সন্ধান

কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মংচিং মারমা অপহরণের ১০’দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ফলে অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মংচিং অপহরণ ও মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাইখালী ইউপির উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রভিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় অপহৃতের বড় ভাই আবুমং মারমা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ভাইকে যারা অপহরণ করেছে অবিলম্বে তাদের নিকট অনুরোধ জানান অন্তত তার ছোট শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে অতিশয় মংচিংকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইউপি সদস্য মংনুচিং মারমা বলেন, রাইখালী এলাকা এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। একের পর এক হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তিনি অবিলম্বে ইউপি সদস্য মংচিং এর মুক্তির দাবি জানান।

রাইখালী ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বলেন, রাইখালীতে অপহরণ সহ একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটলেও অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো নয়।

রাইখালী ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক বলেন, একের পর এক রাইখালীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ ও হত্যা সহ সর্বশেষ ইউপি সদস্যকেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অপহৃতের পরিবারের ছোট ছোট কোমলমতী শিশুদের দিকে তাকিয়ে হলেও তাকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অপহৃতের স্ত্রী সামাউ মারমা, অপহৃতের মেঝ ছেলে হ্লাচাই মারমা, পরিবারের সদস্য, রাইখালী ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্য সহ ইউনিয়নবাসীগণ।

উল্লেখ্য, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ার নিজ ঘর থেকে গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় ১১টায় ইউপি সদস্য মংচিং মারমাকে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার ৩দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এই বিষয়ে চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. আশ্রাফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য উদ্ধারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version