parbattanews

অপহৃত আ:লীগ নেতা চথোয়াইকে উদ্ধারে সেনা-পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে

অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মারমাকে উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশন

বান্দরবানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেএসএস ও মগ বাহিনীর কিলিং মিশনে এবার আওয়ামী নেতা সাবেক কমিশনারকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার রাত ৮টা ৪৫মিনিটের দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ওজি হেডম্যান পাড়া খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তাকে ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
অপহৃত ব্যাক্তির নাম চথোয়াই মং মারমা (৫৫)। তার বাবার নাম মৃত মংমং মারমা।

তিনি বান্দরবান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এবং এলাকায় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।

অপহরণের সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা চথোয়াইর স্ত্রীকেও চড়, থাপ্পড় ও লাথি মারে ও হত্যার হুমকি দেয়।

বুধবার রাতে ঘটনার পর সরেজমিনে অপহৃতের স্ত্রী মেচাচিং মারমা পার্বত্যনিউজকে বলেন, খামারবাড়িতে রাতে টিভিতে সংবাদ দেখার পর রান্নাঘরে বসে গল্প করছিলেন চথোয়াই।

এসময় হঠাৎ করে ৬-৭জনের অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে চথোয়াইকে অস্ত্রের মূখে জিম্মী করে। পরে তার ব্যবহৃত এনড্রয়েড মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে খামারবাড়ির দক্ষিণ দিকে ত্রিপুরা পাড়া থেকে পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীকে খবর দেয়। পরে রাত ৯টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে দূর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে।

এ ঘটনায় অপহৃত চথোয়াইকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে।

আইন শৃংখলা বাহিনীর কড়া অভিযানের মাঝেও অপহরণের ঘটনাটি জেলা শহর জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা চথোয়াই অপহরণের ঘটনায় তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামীলীগ।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেবী ইসলামসহ বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু উম্মুক্ত মঞ্চে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

এদিকে ঘটনার পর ওজি হেডম্যান পাড়া এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও বিভিন্ন বসতবাড়ি থেকে পুরুষরা নিরাপদ দূরত্বে থাকছেন।

স্থানীয়রা অপহরণের এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)কে দায়ী করছে। প্রসঙ্গত ওই এলাকায় বর্তমানে জেএসএস ছাড়াও মগ বাহিনী ও ইউপিডিএফের কিছু সদস্য সক্রিয় রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাড়ার কয়েক বাসিন্দা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। একই দিন অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের অপর কর্মীকে। এখনও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ৯ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯ মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সর্মথক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে (২৭) অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।

Exit mobile version