অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

অপহৃত যুবদল নেতা আনোয়ার সিকদারের সংবাদ সম্মেলন

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ার যুবদল নেতা আনোয়ার সিকদার অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলার একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি ৷

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৮ জুন রাত উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের পাশ থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।

এই খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে এই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

ঘটনার সময় আমি অচেতন থাকায় পরবর্তীতে জ্ঞান ফেরার পর এসব বিষয়ে অবগত হই।
ঘটনার পরদিন আমার বড় ভাই সরওয়ার সিকদার উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্বৈরাচারী সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং মাদক কারবারে জড়িত থাকা অবৈধ সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াবা গডফাদার আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সহ জড়িত থাকা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে৷

তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যারা আমাকে অপহরণ করেছে, তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”

আনোয়ার সিকদার বলেন, “আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করেছি। কিন্তু আজ যারা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তারাই আমাকে টার্গেট করেছে। এই হামলা শুধু আমার উপর নয়, পুরো যুবদলের উপর হামলা। অবিলম্বে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি”

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমি দেশবাসী, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার জীবনের নিরাপত্তা, আমার পরিবারের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়—সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়া, কক্সবাজার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন