parbattanews

অবশেষে আজ রাঙ্গামাটির সাথে ভারী যান যোগাযোগ শুরু

 

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

অবশেষে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য বেইলীব্রীজ উন্মুক্ত করলো রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক বিভাগ। ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় দীর্ঘ ৬৮ দিন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর ২১ আগস্ট সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের সাপছড়িস্থ শালবাগান এলাকায় নির্মিত বেইলী ব্রীজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সড়ক যোগাযোগে মানুষের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাঘব হলো।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির পর ১৩ জুন পাকৃতিক দুর্যোগে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ও সড়ক ধসের কারনে যান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে মানুষের সীমাহীন কষ্ট হয়। সাপছড়ির শালবাগানস্থ পাহাড় ধসের সাথে সাথে প্রায় ৭০ফুট সড়ক ধসে একেবারে নিচে পড়ে যায়। এতে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের মধ্যে হালকা যানবাহনের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়।

এতে মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হলেও বড় যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে পারতো না। টানা দুমাসের কাজ চালিয়ে নির্মিত বেইলী ব্রীজ দিয়ে এখন ভারী যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। ফলে শহরের সাথে ভারী যানবাহনের যোগাযোগ এখন উন্মুক্ত হলো।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানিয়েছেন, ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেইলী ব্রীজটি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া সড়কের পার্শ্বে গাছের বল্লি দিয়ে মাটি ধারক এর কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সড়কের সকল সমস্য নিরসন হবে। ঘটনার পর ১ মাসের মধ্যে ভারী যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও স্থাপত্য কাজের বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেখানে অনিচ্ছাকৃত দুই মাস সময় লেগেছ। কাজ দ্রুত করা হলেও ব্রীজের স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত মজবুত করা হয়েছে। ভারি যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।

এ ধরনের বেইলি ব্রীজ নির্মাণে পিলারে সাধারণত ১শত থেকে ১শত ২০ ফুট অন্তর স্পেস দেওয়া হয়। কিন্তু অধিক নিরাপত্তা ও ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পিলারের স্পেস দেওয়া হয়েছে ৪০ ফুট অন্তর। বেইলি ব্রীজের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। ভারি যানবাহন চলাচলে ব্রীজের কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবু অধিক নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যান চলাচল করতে দেয়া হবে না বলে জানান।

Exit mobile version