অবশেষে মানিকছড়ির রাইংগাপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামগড় বদলি

fec-image

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার রাইংগা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মন্নান কর্মস্থলে পাঠদান, অফিস ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও একগুঁয়েমিতায় অভিভাবক ও এসএমসি কমিটির সাথে সৃষ্ট বিরোধে স্কুলে পাঠদান ব্যাহতসহ শিক্ষার্থী ঝরে পরার ঘটনায় বির্তকিত প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। নতুন কর্মস্থল রামগড় উপজেলার বালুখালি আলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) অপরাহ্নে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জবরুত খান।

এদিকে শিক্ষক বদলির খবরে এসএমসি ও অভিভাবক মহলে স্বস্তি ফিরেছে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে সারাদেশে একযোগে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে উপজেলার রাইংগা পাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. আবদুল মন্নান। যোগদানের পর হতে পাঠদান ও অফিস ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও একগুঁয়েমিতা শুরু করেন প্রধান শিক্ষক! এতে করে এসএমসি সদস্য ও শিক্ষকের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে অভিভাবক মহলেও বিষয়টি বিস্তার লাভ করে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পরার হার বাড়তে থাকে। গত নভেম্বর মাসে ২৩ শিক্ষার্থী ঝরে পরায় বিষয়টি নিয়ে সবর্ত্র তোড়জোড় শুরু হওয়ায় এসএমসির সভাপতি মো. সোহাগ মিয়া প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারীর শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা শিক্ষা কমিটির বৈঠকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার সতত্যা পেয়ে তাকে অন্যত্র বদলী করার সুপারিশ করেন।

অন্যদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিদের্শে অভিযোগ তদন্ত করেন রামগড় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইম্রাচিং চৌধুরী ।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশ এবং জেলা শিক্ষা অফিসের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে গত ৯ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মন্নানকে রামগড় উপজেলার বালুখালি আলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যোগদানের নিদের্শ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল ১২ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জবরুত খান ওই প্রধান শিক্ষককে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জবরুত খান বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মন্নানকে নতুন কর্মস্থলে যথা সময়ে যোগদানের জন্য অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বদলির খবরে এসএমসি সভাপতি মো. সোহাগ মিয়া বলেন, একটু দেরি হলেও অদক্ষ প্রধান শিক্ষকের বদলিতে আমরা (অভিভাবক ও এসএমসি সদস্য) স্বস্তিবোধ করছি। আশা করি নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তি বাড়বে এবং পড়ালেখার পরিবেশ কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মানিকছড়ি, রামগড়, শিক্ষক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন