খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ি’র রামগড় উপজেলার ৩নং হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা এবার সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিজিডি চাউল বিতরণে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের তিনি অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।
রবিবার হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে গুইমারা থানা কর্তৃক আয়োজিত ওপেনর হাউজ ডে অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সব ইউনিয়ন পরিষদে চাউল কম দেয়। তাই বলে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে? পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে চেয়ারম্যানের পদ যাবে না।
উল্লেখ্য, দুর্ণীতির অভিযোগে ইতিপূর্বে দুইবার বরখাস্ত হয়েও শিক্ষা হয়নি তার। বরখাস্থকালীন সময় চেয়রম্যান না থাকায় প্রায় ২মাস অভিভাবকহীন ছিল পরিষদটি। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে বহিস্কারের আদেশের ৬মাসের স্থগিতাদেশ নিয়ে পুনরায় স্বপদে বহাল থেকে অনিয়ম-দুর্ণীতি চালু রেখেছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রীতি সময়ে অনিয়ম দুর্ণীতিতে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্ধকৃত হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা ও গরীব দুস্থ মহিলাদের জন্য বরাদ্ধকৃত মাসিক ৩০কেজি চাউল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। মাসিক ৩০কেজি চাউলের পরিবর্তে চেয়ারম্যান নিজেই উপস্থিত থেকে ২৫কেজি চাউল বিতরণ করেছেন। প্রতি কার্ড থেকে ৫ কেজি করে কম দিয়ে প্রায় ৪শ কার্ড থেকে ২ হাজার কেজি চাউল আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান। যার বাজার মূল্য বর্তামানে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
এবিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এর আগেও অনিয়মের অভিযোগে তাকে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছে। এবারও চাউল কম দেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষটি খতিয়ে দেখছি, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের অবাঞ্চিত ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গুইমারা সাংবাদিক ফেরাম। রবিবার দুপুরে ফোরামের নিজস্ব কার্যালয়ে ফোরামের সভাপতি এম. সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভায় এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চাউল আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন ও সাংবাদিকদের সাথে অসৎ আচরণের বিচার দাবীসহ এ ধরণের দুর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানকে অপসারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান সংবাদকর্মীরা।