অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্যাঞ্চল থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জেলার প্রায় ১০টি উপজেলা থেকে সাধরাণ মানুষের ঢল নামে শহরের পৌরসভা চত্বরে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জন সমুদ্রে পরিণিত হয় পুরো পৌর এলাকা।
বেলা ১১টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে ‘‘অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোল” এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ও সচেতন নাগরিকের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয় সাধরাণ পাহাড়ী-বাঙালী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় সমাবেশে রাঙামাটি জেলা হেডম্যান নেটওর্য়াকের সভাপতি চিঙকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অংসু সাইন চৌধুরী, বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধরাণ সম্পাদক তাপস দাস, জেলা অটোরিক্সা সমিতির সাধরাণ সম্পাদক শহীদুল জামান রোমান, বাঙালী ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদ ইকবাল হোসেন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্যাঞ্চল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি থাকতে চায় না। তাই আজ পার্বত্যাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ পাহাড়ী-বাঙালী নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
বক্তরা আরো বলেন, এখনি সময় এসব নামধারী অস্ত্রধারীদের প্রতিহত করার। কারণ পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ শান্তি চায়। তাই পাহাড়ের মানুষ এখন আর চাঁদাবাজদের ভয়পায় না। আজ থেকে পাহাড়ের মানুষ চাঁদা নয়, দিবে উপযুক্ত জবাব।
অবিলম্বে পাহাড়ের দীর্ঘদিনের চলমান অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজিসহ অস্ত্রধারীদের সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের এ আন্দোলন আগামীতে আরো কঠোর হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন বক্তারা।