অভিযোগের পরও নেওয়া হলো বাইশারী কলেজের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ ও নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার লিখিত আবেদন জানিয়েও প্রতিকার পাননি কলেজের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা। এই নিয়ে এলাকার সচেতন সমাজ ও কলেজ কমিটির সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত কিছুদিন ধরে বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক নিয়োগ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধ সমাধান না হওয়ার আগেই এবার একতরফাভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষকরা দাবি জানিয়েছিল বকেয়া সম্মানি পরিশোধ করে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগ না দিতে। কিন্তু কমিটির একাধিক সদস্য ও শিক্ষকদের পরামর্শ না নিয়ে মঙ্গলবার (৯মার্চ) বান্দরবান জেলা সদরে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সহকারী অধ্যক্ষ হরি কান্ত দাশ বলেন- নিয়োগ কমিটিতে আমি নাই। তাই পরীক্ষা হয়েছে কিনা জানিনা।

কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য শামসুন্নাহার পার্বত্যনিউজকে জানান, শিক্ষক ও কমিটির পক্ষ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের মতামতকে প্রাধান্য দওয়া হয়নি। বরংচ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলেজের দপ্তরীর মাধ্যমে আমার সাথে প্রতারণা করে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর আদায় করে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন।

এদিকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হাকিম, শিক্ষক উজ্জল কান্তি নাথ, মোমেনা ইয়াছমিন ও শামসুন্নাহার।

অভিযোগে তারা আরো উল্লেখ করেছেন- নিয়োগবর্ডির সভার রেজুলেশনে গর্ভনিং বডির সদস্য থাকা সত্বেও প্রার্থী হয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্বাক্ষর করেন আবদুল মাবুদ নামে একজন। এই ধরনের সেচ্ছাচারীতা নিয়োগ কমিটিতে প্রভাবিত করতে পারে, যার কারণে অন্যান্য প্রার্থীরা সমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার সোহেল মিয়া জানান, কলেজের শিক্ষক ও সদস্যদের অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে বলেছেন। কিন্তু অভিযোগ দাখিলের পরদিনই বান্দরবানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সরেজমিনে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন