অরুণাচল প্রদেশে বসবাসকারী চাকমা ও হাজংদের সরে যাওয়া উচিত : কিরেন রিজিজু

fec-image

অরুণাচল প্রদেশে বসবাসকারী চাকমা ও হাজংদের স্বেচ্ছায় রাজ্য থেকে সরে যাওয়া উচিত। সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ প্রদানের জন্য প্রস্তুত। তবে তাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। মোদী সরকারের ১১ বছরের কর্মসূচী উপলক্ষে উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইনের সাথে ইটানগরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু মঙ্গলবার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, অরুণাচল প্রদেশে বসবাসকারী চাকমা ও হাজং সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছায় রাজ্য থেকে সরে যাওয়া উচিত। কারণ আইনগত ও সাংবিধানিক বিধানগুলো সংরক্ষিত উপজাতি এলাকায় তাদের বসতি স্থাপনে বাধা দেয়।

সেবা, সুশাসন, গরীব কল্যাণ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে রিজিজু বলেন, “আমরা বারবার চাকমা ও হাজং সম্প্রদায়কে স্বেচ্ছায় অরুণাচল প্রদেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে জোরপূর্বক উচ্ছেদ অনুমোদিত নয়।” রিজিজু উল্লেখ করেছেন, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার চাকমা ও হাজংদের অরুণাচল প্রদেশে বসতি স্থাপন করতে সহায়তা করেছিল।

তিনি বলেন, “এখন, সময় এবং আইন পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা তাদের অনুরোধ করছি যে, তারা যে কোনও জায়গায় উপযুক্ত মনে করে স্থানান্তরিত হোক। সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ প্রদানের জন্যও প্রস্তুত, তবে তাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে। স্থান চিহ্নিত করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে, রিজিজু সম্প্রদায়গুলোর সহযোগিতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের নেতাদের স্থানান্তরের জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা সহযোগিতা করছে না। আসাম, অরুণাচলের রাজ্যপালরা সীমান্ত সম্প্রীতি, অবৈধ অভিবাসন উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে তিনি নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (CAA) এর কথাও উল্লেখ করেছেন।

রিজিজু জোর দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হলেও, তারা উত্তর-পূর্বের উপজাতি এলাকায় বসতি স্থাপন করতে পারবে না। এটি আইনের অধীনে একটি স্পষ্ট এবং বিশেষ বিধান,”।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদ উত্তর-পূর্বের উপজাতি অঞ্চলগুলির জনসংখ্যা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে এবং অবৈধ অভিবাসীরা এই সুরক্ষিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে (উত্তর-পূর্ব অরুণাচল প্রদেশ) নাগরিকত্ব বা অধিকার অর্জন করতে পারে না।
সূত্র : আসাম ট্রিবিউন থেকে অনূদিত

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন