অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড
সহজ সমীকরণ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটে স্কটল্যান্ড; এতে বাদ পড়বে ইংল্যান্ড। আর স্কটিশরা হারলেই শেষ আটে জায়গা করে নেবে ইংলিশরা। সহজ করে বললে, অজিদের কল্যাণেই সুপার এইট নিশ্চিত করলো ইংল্যান্ড।
স্কটল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে ইংল্যান্ডের পথ পরিষ্কার করেছে তারা। অজিরা ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতায় সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে ইংলিশদের। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে স্কটল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।
অ্যান্টিগায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়ের পর সুপার এইটে যেতে স্কটল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ওয়াশআউট কিংবা প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া বধ। কিন্তু পরিষ্কার আকাশ থাকায় এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে লড়াই করেই ম্যাচটা নিজেদের পক্ষে আনতে হবে তাদের। ব্যাট হাতে তার প্রমাণও দিয়েছে। ৫ উইকেটে করেছে ১৮০ রান। যার পেছনে বড় অবদান ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের। ৩৪ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় বিস্ফোরক ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক রিচি বেরিংটনও অবদান রাখেন। ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে থাকেন অপরাজিত। তাছাড়া ওপেনার জর্জ মানসি ২৩ বলে ৩৫ রানে উড়ন্ত সূচনাতে অবদান রেখেছেন।
সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেও ম্যাক্সওয়েল ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার, নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা।
আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং আর যেভাবে সূচনা করেছে সেটা ইতিবাচক ছিল না। শুরুর দশ ওভারে শ্লথ ছিল রানের চাকা। ৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে তুলতে পারে ৬০ রান। ডেভিড ওয়ার্নার (১), মিচেল মার্শ (৮) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১) কোনও অবদান রাখতে পারেননি। তার পর শেষ দশ ওভারে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি পাল্টাতে ভূমিকা রাখেন শুরু থেকে প্রান্ত আগলে থাকা ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিস। ৪৪ বলে ৮০ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়েন তারা। ট্রাভিস হেড ৪৯ বলে ৬৮ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। যার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। দ্রুত সময়ে স্টয়নিসও ফেরেন ২৯ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছয়ের মার। তাতেও সমস্যা হয়নি। শেষটায় টিম ডেভিড ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে ৫ উইকেট হারিয়ে দলটি ১৯.৪ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে। স্কটল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক ওয়াট ও সাফইয়ান শারিফ।
গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া ৪ ম্যাচের সবকটি জিতে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। স্কটল্যান্ডেরও সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। কিন্তু নেটরানরেটে এগিয়ে থাকায় জশ বাটলাররা পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে। ইংল্যান্ডের রানরেট ছিল ৩.৬১১ আর স্কটল্যান্ডের ১.২৫৫।