parbattanews

অ্যাডভেঞ্চার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধানক্ষেত্র হতে পারে টেকসই পর্যটনখাত। অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের মাধ্যমে দেশের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা প্রসারিত ও বিকশিত হবে। অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শনিবার (০৯ জানু) বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১-১২ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী তিন পার্বত্য জেলায় ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি, ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম নিজামী, সদস্য প্রশাসনের যুগ্ম সচিব আশীষ কুমার বড়ুয়া, সদস্য পরিকল্পনার উপসচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এবারের বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে থাকছে, পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, রেপলিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারী ইভেন্ট সমূহে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় এক অন্য রকম ক্রীড়া অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এতে অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়াপ্রেমী অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়াও পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী জনমানুষের এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতর হবে এবং পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুদৃঢ় হবে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে তিন পার্বত্য জেলা থেকে ৫০ জন এবং দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ৫০ জনসহ মোট ১০০ জন নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করবে। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।

আগামী ১১ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলার চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন, পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন, এমপি।

Exit mobile version