আঁকা-বাঁকা পানছড়ি-গৌরাঙ্গপাড়া সড়কে নেই নির্দেশনা সাইনবোর্ড

fec-image

মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং-তবলছড়ি এলাকার জনসাধারণের খাগড়াছড়ি জেলা শহরে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম পানছড়ি উপজেলার বুক চিরেই। সেসব এলাকার অসুস্থ রোগীদেরও শেষ ঠিকানা পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তাই সড়কটি জেলার অন্যতম একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়কের প্রধান বাহন চান্দের গাড়ী, মোটর সাইকেল, মাহেন্দ্র ও সিএনজি। পানছড়ি থেকে গৌরাঙ্গপাড়া সড়কের দুরত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো রাস্তাই বয়ে গেছে সাপের মতো আঁকা-বাঁকা হয়ে। বাঁকগুলোতে নেই কোন নির্দেশনা সাইনবোর্ড।

রাস্তার দু’ধার ঘিরে রেখেছে সবুজ জঙ্গলে। সবুজ জঙ্গলে ঘেরা রাস্তাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও চালকদের জন্য হয়ে উঠে বিপদজনক। দুটো গাড়ি মুখোমুখি হলেও বোঝার উপায় থাকেনা। তাই প্রায়ই ঘটে চলেছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। গত ৬/৭ মাসে মরাটিলা, পাইয়ংপাড়া, বিষ্ণু বাবুর বাগান, উল্টাছড়ি ডাউনে ঘটেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা, এতে অনেকে আহত হয়েছে দু’একজন মারাও গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

চান্দের গাড়ির চালক হানিফ মিয়া, ইমাম হোসেন জানায়, তাইন্দং-তবলছড়ি এলাকার উৎপাদিত শাক-সবজি, তরমুজ ও ফলফলাদি বেশীরভাগ পানছড়ি বাজারে আসে। কিন্তু এই সাপের মতো আঁকা-বাঁকা রাস্তাটিতে সর্তকর্তামূলক কোন নির্দেশনা সাইনবোর্ড নাই। যার কারণে চালকদের গাড়ি চালাতে হয় সম্পুর্ণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো: ফয়সল বলেন, সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন। সড়ক নিরাপত্তার জন্য নির্দেশনা সাইনবোর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক অবকাঠামোয় রিলেটেড যারা রয়েছে আঁকা-বাঁকা সড়কে নির্দেশনা সাইনবোর্ড বসানো তাদের দায়িত্ব। তাছাড়া নির্দেশনা সাইনবোর্ড একটা চলমান প্রক্রিয়া। সড়ক ও জনপথের আওতাধীন যেসব সড়ক রয়েছে সেসব সড়কে নির্দেশনা সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

পানছড়ি এলজিইডির আবাসিক প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ জানান, সড়কটি প্রসস্থ করার নির্দেশনা এসেছে। রাস্তা আরো বাড়বে তখন একসাথে সাইন সিগনালের কাজটাও করা হবে।

এ সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন জানায়, কিছুদিন আগে সড়কের দু’পাশে কোথায় কোথায় গার্ডার নির্মান করা হলেও বছর না যেতেই ভেঙ্গে পড়েছে। সড়কটির কয়েক জায়গায় গার্ডার নির্মান ও রাস্তা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত গাছ-গাছালি ছাটাই করেও দিলে গাড়ি চালাতে ঝুকি কিছুটা কমবে। প্রশাসনের সু-নজর আশা করছে সবাই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ঘটনা, পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন