parbattanews

আইএস’র হুমকী মোকাবেলায় তৎপর পুলিশ

শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য পরিচিত পার্বত্য জেলা বান্দরবান। জেলার সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং ইউনিয়নে সম্প্রতি দু’জন খুন এবং একজনকে অপহরণ ঘটনায় অপরাধী দমনে ব্যস্ত সময় পার করছিলো আইন শৃংখলা বাহিনী।

এই ধরাবাহিকতায় রবিবার (১২ মে) আতঙ্কগ্রস্থ এলাকায় ভয় কাটাতে রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা করা হয়।

সভায় বান্দরবানের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এই পরিস্থিতির মাঝে এবার যুক্ত হয়েছে আসন্ন বুদ্ধ পূর্নিমায় আইএস এর হামলার হুমকী। বুদ্ধ সম্প্রদায় অধ্যুষিত জেলা হওয়ায় বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতিতে আইএস এর এই হুমকী হালকাভাবে নেয়নি জেলার আইন শৃংখলা বাহিনী।

বান্দরবানে মোট ৩৪.৮৮ ভাগ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রয়েছে। ছোট বড় মিলিয়ে বৌদ্ধ বিহার রয়েছে সাড়ে চারশ’। আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার আগে এসব বৌদ্ধ বিহারসহ পাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নিয়ে মতবিনিময় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনাও করা হচ্ছে।

জেলার রোয়াংছড়ি থানার এসআই সুমন কান্তি দে জানান, বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সোমবার (১৩ মে) উপজেলার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম।

সভায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিজস্ব নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেওয়া হয়।

এসময় এসআই সুমন কান্তি দে, এসআই আলমগীর, এসআই নজরুল, এএসআই সারোয়ার, এএসআই আলীম উপস্থিত ছিলেন।

একই ভাবে জেলার সাত উপজেলার প্রতিটি থানায় এই ধরণের মতবিনিময়ের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

আইএস এর হামলার হুমকী প্রসঙ্গে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, আসন্ন ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বাড়তি সর্তকর্তা নেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধ বিহার, মন্দির ও পাড়াগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণের সাথে করা হচ্ছে নিয়মিত মতবিনিময়। যে কোন ধরণের হামলার ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version