আওয়ামী লীগ প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না  : আখতার হোসেন

fec-image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন আছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সন্ত্রাস করেছে, আওয়ামী লীগের নাম নির্বাচনের নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীদের খাতায় উল্লেখ করতে হবে।

বাংলাদেশে যতদিন পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম বেঁচে আছে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে এক সেকেন্ডের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে দেব না।’ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২ মে) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর আয়োজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, বাংলাদেশের ওপর বারংবার গণহত্যা চাপিয়ে দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ কোনোভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।

আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, অতীতের মতো সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা না। আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। গণঅভ্যুত্থানের মেন্ডেট নিয়ে যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন – যেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা করেছে, সেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধা কোথায়? আজকে সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।

আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আওয়ামী লীগ নামে, নৌকা মার্কার নামে, মুজিববাদী আদর্শের নামে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না। ’

এনসিপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তুলুন। এই ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান করে ছাড়বে। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান না হয়, ততদিন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্যরা তাদের জীবন দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা করে ছাড়বে।

জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আখতার হোসেন বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক দোসর রাজনৈতিক দল হতে পারে, সুশীল সমাজের লোক হতে পারে, সাংবাদিক হতে পারে, বিচারপতি হতে পারে। কিন্তু যারাই আওয়ামী লীগকে ন্যূনতম স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা দুর্গ গড়ে তুলবে।

বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকলে মিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশে সামনে কোনো নির্বাচন হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের আইনের হাতে তুলে দিন। জনগণের হাতে যদি আওয়ামী লীগ পড়ে, তাহলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আস্ত থাকবে না।

এর আগে বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে ৩টি ট্রাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন