parbattanews

আগামী শুকনো মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ বাড়ি উচ্ছেদ করা হবে: জেলা প্রশাসক

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন, আগামী শুকনো মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ বাড়ি উচ্ছেদ করা হবে। যেসব ভবন থেকে মানববর্জ্য নালা কাপ্তাই হ্রদে ফেলে দেওয়া হয়েছে এগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার(২৩ অক্টোবার) দুপুরে সরকারের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলা ব্র্যান্ডিং ও কৌশল এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিউল সারোয়ার, জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙামাটির ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটি একটি পর্যটনের শহর। কিন্তু যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পুরো পরিবেশকে দুষিত করা হচ্ছে। যত্রতত্র দখলে নষ্ট হচ্ছে। তাই শহরকে  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর করতে শীঘ্রই পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করবে। অভিযান চলাকালীন সময় সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিং পাওয়া গেলে এটি কার তা না দেখে বুলডোজার দিয়ে পিস্ট করে তা নির্ধারিত স্থানে ফেলে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, রাঙামাটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সবার। কিন্তু সেটি লক্ষ্যনীয় নয়। পৌরসভা, জেলা পরিষদের বা জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব বলে মানুষ দায়সাড়া কাজ করে। এখন কোনটি কার সেটি বিবেচনা না করে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তাই, উচ্ছেদ অভিযানে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় দেশের অন্যান্য জেলা স্ব স্ব এলাকার শিল্প, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে জেলা ব্র্যান্ডিং ও কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই আলোকে রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এবং কাপ্তাই হ্রদকে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। এ লক্ষ্য পুরণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাপ্তাই হ্রদকে রক্ষা করতে হবে। এ হ্রদ রক্ষা হলে পাহাড়ের জীব বৈচিত্র্য ঠিকে থাকবে। তা না হলে রাঙামাটি বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই হ্রদ রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

Exit mobile version