আজ নেপালকে হারালেই সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

fec-image

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বিকাল সোয়া ৫টায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নেপাল ও বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে শিরোপা জিততে চাইবে দুটি দলই। দুই দলের সামনেই রয়েছে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। এর আগে চারবার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে পারেনি নেপাল। অন্যদিকে বাংলাদেশ সাফের ফাইনালে খেলেছে মাত্র একবার। ফলে দুই দলই তাই ট্রফি জিততে মরিয়া হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে। চলুন ফাইনাল শুরুর আগে ফাইনালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক দেখে নেয়া যাক,

১. বাংলাদেশের ডিফেন্স বনাম নেপালের অ্যাটাক : এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ দল। দলের দুই সেন্টার ব্যাক আঁখি খাতুন ও মাসুরা পারভীন এবং মিডফিল্ডে মনিকা ও মারিয়া মান্দা মিলে প্রতিপক্ষের জন্য তৈরী করেছেন এক দুর্ভেদ্য দেয়াল। অন্যদিকে নেপাল দল টুর্নামেন্টে গোল করেছে ১১টা। তাই ফাইনালে বাংলাদেশের ফুল ব্যাক ও সেন্টার ব্যাকদের নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে সে তো বোঝাই যায়।

২. নেপালের ডিফেন্স বনাম বাংলাদেশের অ্যাটাক : পুরো টুর্নামেন্টেজুড়েই বাংলাদেশের আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন সিরাত জাহান স্বপ্না। তবে এবারে বাংলাদেশের ভরসার নাম সাবিনা খাতুন। এবারে ৪ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। এছাড়াও কৃষ্ণা তো আছেনই। তাই ফাইনালে নেপালের ডিফেন্ডারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে!

৩. ইঞ্জুরি : ইঞ্জুরির সমস্যা আছে বাংলাদেশ-নেপাল দুই শিবিরেই। ফাইনালের আগে ইঞ্জুরিতে পড়েছেন এটাকের মাস্টারমাইন্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। তাই ফাইনালে হয়তো স্বপ্নার বদলে ঋতুপর্ণাকে দেখা যেতে পারে প্লেয়িং ইলেভেনে। সমস্যা আছে নেপাল শিবিরেও। সাবিত্রা ভান্ডারি ও মাঞ্জালি কুমারী ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় এখনো খেলছেন না।

৪. দর্শক : বাংলাদেশ নারী দলের জন্য সবচেয়ে বড় টেনশন হতে পারে নেপালের দর্শক। হোম ম্যাচ বলেই হয়তো কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে নেপাল। তবে চাপমুক্ত খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে।

বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী দলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের। ফলে সাবিনা-কৃষ্ণাদের নিয়েই এখন স্বপ্ন দেখছে পুরো বাংলাদেশ। ফাইনাল ম্যাচে মাঠে সাবিনা-কৃষ্ণারা সকলের এই প্রত্যাশা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারেন, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা। তবে মাঠে নামার আগে নিজের ফেসবুক ওয়ালে বিশাল এক বার্তা দিয়েছেন সানজিদা আক্তার। যার একটা মনকাড়া অংশ হলো-

যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই সকল স্বপ্নসারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরো নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, সাফ চ্যাম্পিয়ন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন