আজ পবিত্র শবে মিরাজ


বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় পবিত্র এ রজনী। ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মুসলিমরা শবে মেরাজ পালন করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪২ হিজরি সালের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৩ ফেব্রুয়ারি পবিত্র জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পবিত্র রজব মাস শুরু হয়। আর ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ।
মিরাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনা : ইমাম ইবনে কাসির তার তাফসির গ্রন্থে আলোচ্য আয়াতের তাফসির এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করার পর বলেন- সত্য কথা এই যে, নবী করিম সা: মিরাজের সফর জাগ্রত অবস্থায় করেন; স্বপ্নে নয়। মক্কা মোকাররমা থেকে বাইতুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত তিনি এ সফর বোরাকযোগে করেন। তার পরের সংক্ষিপ্ত ঘটনা হলো, বাইতুল মোকাদ্দাসের দ্বারে উপনীত হয়ে রাসূল সা: বোরাকটি অদূরে বেঁধে দেন এবং বাইতুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করেন ও দুই রাকাত সালাতে ইমামতি করেন। এ সালাতে নবী-রাসূলগণ অংশ নেন। এরপর তিনি প্রথমে প্রথম আসমানে, তার পর অবশিষ্ট আসমানগুলোতে গমন করেন।
এ সফরে নবীজির সাথী ছিলেন ফেরেশতা হজরত জিবরাইল আ:। সফরকালে প্রত্যেক আসমানে সেখানকার ফেরেশতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং প্রত্যেক আসমানে একজন নবী তাকে অভিবাদন জানান। ষষ্ঠ আসমানে মুসা আলাইহিস সালাম এবং সপ্তম আসমানে ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সাথে নবীজির সাক্ষাৎ হয়। তারপর তিনি পয়গম্বরগণের স্থানগুলো অতিক্রম করে এক ময়দানে পৌঁছান, যেখানে তাকদির লেখার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ দেখেন, যেখানে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে স্বর্ণের প্রজাপতি এবং বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি ইতস্তত ছোটাছুটি করছিল। ফেরেশতারা স্থানটিকে ঘিরে রেখেছিল। এখানে রাসূল সা: জিবরাইলকে তাঁর স্বরূপে দেখেন। তাঁর ৬০০ পাখা ছিল। তিনি বাইতুল মামুরও দেখেন। তিনি স্বচক্ষে জান্নাত ও জাহান্নাম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন। সে সময় তার উম্মতের জন্য প্রথমে ৫০ ওয়াক্তের সালাত ফরজ হওয়ার নির্দেশ হয়। তারপর তা ক্রমেই হ্রাস করে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়।