‘আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের প্রভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না হেডম্যান-কার্বারীরা’
পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের পাশাপাশি প্রথাগত এই অধিকার সমুন্নত রেখে কাজ করার জন্য সার্কেল প্রথার স্তর কাঠামোর দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হেডম্যান-কার্বারীরা আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের প্রভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
শুক্রবার সকালে মং সার্কেল কার্যালয় প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ৭ম রাজপূণ্যাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, সকালে ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিচ্ছেদ ও আবহে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে রাজপূণ্যাহস্থলে আগমন করেন মং সার্কেলের চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনাকে সমুন্নত রাখা, ১৯০০ সালের শাসনবিধি (হিলট্র্যাক্ট ম্যানুয়েল) অধিকতর কার্যকর করা, হেডম্যান-কার্বারীদের সম্মানী বৃদ্ধিসহ ক্ষমতায়িত করা, হেডম্যানদের কার্যালয় নির্মাণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন মং সার্কেলের চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী।
পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরীসহ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, হেডম্যান-কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে হেডম্যান, কার্বারী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মং সার্কেল চীফকে সম্মানসূচক ঐতিহ্যবাহী নাজরানা উপঢৌকন প্রদান করেন। রাজ পূণ্যাহ উপলক্ষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী রোববার নারী হেডম্যান-কার্বারীদের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী রাজ পূণ্যাহ অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিন শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় অনুষ্ঠানে মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী দিনভর ৮৮টি মৌজা’র প্রধান বা হেডম্যান এবং সাত’শ একজন পাড়া প্রধান (কার্বারী)-এর কাছ খাজনা ছাড়াও বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করবেন। এদিন রাজবাড়িতে হেডম্যান-কার্বারীদের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাজবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় দিন (১২ ডিসেম্বর) নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংরক্ষিত মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা প্রধান অতিথি থাকবেন।