‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

fec-image

রাঙামাটিতে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।

৯ আগস্ট শুক্রবার সকালে শহরের বনরূপা এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজম, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি কাজি জালোয়া, পিসিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক হুমায়ূন কবির, পিসিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম, পৌর শাখার সভাপতি মো. পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু, সাপছড়ি ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক।

বক্তারা বলেন, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি আদায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এত মরিয়া হয়ে ওঠার কারণ কী? এর কারণ হলো, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ‘আদিবাসী’ নয়, তারা বহিরাগত। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখানে আশ্রিত জাতি। ঐতিহাসিক তথ্য মতে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরা বার্মা, ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১৭৩০ সাল নাগাদ যুদ্ধে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে আগমন করে। অনেক চাকমা ও মারমা পন্ডিত, লেখকগণ তাদের লেখা বিভিন্ন বইতে উল্লেখ করেছেন, তারা ‘আদিবাসী’ নন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে এদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। তাদের অধিকাংশের আদি নিবাস বার্মা ও বার্মার চম্পকনগরে। তারা যে এদেশের আদি বাসিন্দা নয়, এটা তাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অকপটে স্বীকারও করেছেন।

বক্তারা আরো বলেন, কাক যেমন ময়ূরের পেখম লাগালে ময়ূর হয় না, তেমনি এদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা উপজাতিরা কখনো ‘আদিবাসী’ হতে পারে না। ‘আদিবাসী’ হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন