parbattanews

কক্সবাজারে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের শিশু হাসপাতাল

শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার শহরে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের শিশু হাসপাতাল। যেখানে শিশুদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত সব ধরণের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন নিজেই উদ্যোগটি নিয়েছেন।কক্সবাজার ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও নির্মিতব্য শিশু পার্কের পাশেই স্থাপন করা হবে শিশু হাসপাতালটি।

জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারে শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্য আকাশসম স্বপ্ন নিয়ে আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের শিশু হাসপাতাল করতে যাচ্ছি। এই হাসপাতাল হবে কক্সবাজারবাসীর সম্পদ। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে যোগদানের পর গত আড়াই বছরে বিশেষ শিশুদের (অটিষ্টিক) জন্য অরুণোদয় নামের একটি বিশেষায়িত স্কুল স্থাপন করেন। সেই স্কুলটিতে ইতিমধ্যে কয়েকশ বিশেষ শিশু লেখাপড়া ও খেলাধুলাসহ নানাবিধ উন্নত সুযোগ পেয়েছেন।

এর আগে ডিসি কলেজ নামের একটি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ স্থাপন করে তিনি মানসম্মত পড়ালেখার উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি প্রতিযোগিতার কাতারে নিয়ে এসেছেন। জেলা প্রশাসকের একের পর এক সৃজনশীল গঠনমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও তার মানবিক কাজের জন্য ইতিমধ্যে জেলাব্যাপি ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক শিশুদের জন্য এবার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন কাজে হাত দিলেন।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সভায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কামাল হোসেন চৌধুরী ও নুরুল আবছার, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, জেলা জাসদ সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সচিব আবু জাফর রাশেদ, দৈনিক কালের কন্ঠের বিশেষ প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ, জেলা বারের সভাপতি আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীরসহ স্থানীয় রাজনীতিক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজন বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন একজন মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ বলে উল্লেখ করে বলেন-‘কক্সবাজারবাসী ইতিমধ্যে না চাইতেই জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত উদ্যোগের কারণে অনেক কিছুই পেয়ে গেছেন।’

Exit mobile version