parbattanews

আবাসন সমস্যায় জর্জরিত রাঙ্গামাটি নার্সিং ইনস্টিটিউট

আবাসন সমস্যায় জর্জরিত রাঙ্গামাটি নাসিং ইনস্টিটিউট। যেন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য ৯ জন শিক্ষক থাকলেও এর মধ্যে দু’টি পদ খালি রয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ভিত্তিক পাঠক্রম হলেও নেই রাঙ্গামাটি নাসিংইনস্টিটিউটে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমাডিয়া শ্রেনী কক্ষ।

এছাড়াও হোস্টেলে নেই পানির সুবিধা এবং হোস্টেলে ১০০ জন ছাত্রীর আসন থাকলেও বর্তমানে ১৮০ জন ছাত্রী গাদাগাদি করে থাকছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

নাসিং ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন, ইনস্টিটিউটের আবাসন সমস্যা-সমাধানের জন্য রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দীর্ঘ চার বছর ধরে মাসিক ও উন্নয়ন সভায় মৌখিকভাবে এবং একাধিক বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

এছাড়াও মাল্টিমিডিয়ার শ্রেনী কক্ষের সরঞ্জামের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও গত বছর জুন মাসে আবেদন করা হয়েছে। এতেও কোন কাজ হয়নি।

রাঙ্গামাটি নাসিং ইনস্টিটিউটের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ছাত্রীনিবাসে ১০০ জনের আসন থাকলেও এখন ১৮০ জন হওয়ায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। শৌচাগার, গোসলখানা ও বেসিনগুলো সংস্কার না করায় অধিকাংশ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ছাত্রীদের তুলনায় পর্যাপ্ত শৌচাগার ও গোসলখানা না থাকায় প্রতিদিন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তা ছাড়া শৌচাগার ও গোসলখানায় সব সময় পানি থাকে না। পরে পানির ট্যাংক থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলতে হয়।

তারা আরও জানান, অনলাইন ভিত্তিক সিলেবাস হওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত জরুরী। রাঙ্গামাটি নার্সিং ইনস্টিটিউটে কম্পিউটার ল্যাব থাকলেও নেই ইন্টারনেট সংযোগ। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করা হচ্ছে না। এতেও তাদের পড়া-লেখার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

তাই তাদের অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণ করে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক সংকট নিরসন করে সরকার যাতে ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনেন এটিই তারা আশাব্যক্ত করেন।

নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রশাসন শাখার দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৭২ সালের ২৫ জন ছাত্রী নিয়ে রাঙ্গামাটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে প্রতিবছর ছাত্রীদের জন্য ২৫ টি আসন ছিল। এটি বর্তমানে ৮০-এ উন্নীত হয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে ছাত্রীদের আবাসন-সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি।

রাঙ্গামাটি নার্সিং ইনস্ট্রাস্টর ইনচার্জ কৃষ্ণা চাকমা বলেন, আবাসন সমস্যা নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে খুবই কষ্ট হয়। এছাড়াও অফিসের জন্য নেই অফিস সহকারী। যার ফলে অফিসের কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নিতেও হিমশিম খেতে হয় এবং সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষক নার্সিং ইনস্টিটিউটের ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও সম্মানী কম হওয়ায় ক্লাস নিচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্ব থাকা রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, আবাসন সমস্যা গুলোর খোঁজ নেয়া হবে এবং কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Exit mobile version