পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আবুল হায়াত এবারই প্রথম কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন। সম্রাট দাসের গল্প, চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় ‘গিন্নী’ নামের এটি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরইমধ্যে কলকাতার ইচ্ছাপুরে এই চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রটিতে আবুল হায়াত গল্পের প্রোটাগোনিস্ট একাকী বৃদ্ধ দীপক বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আবুল হায়াতের জন্ম মুর্শিদাবাদে। কিন্তু বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে এলে পরে আর জন্মস্থানে ফেরা হয়নি তার পরিবারের।
অবশ্য সেখান থেকে কাজ করার প্রস্তাব পেলে আবুল হায়াত চেষ্টা করেন সেই কাজটি করতে। তাই সম্রাট দাসের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাঁচদিনের দেয়া শিডিউলের আড়াই দিনের কাজ শেষ করে এসেছেন। গল্পের সার সংক্ষেপে জানা যায়, মানুষ দিন দিন যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখন মানুষের বেশিরভাগ সময় কাটে যন্ত্রের সঙ্গে। কিন্তু এক্ষেত্রে দীপক বাবুর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে একটি ইনভার্টারের সঙ্গে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, এতে খুব মজার অথচ বাস্তব একটি চরিত্র আমার। একা বুড়ো মানুষকে একটা না একটা কিছু নিয়েতো থাকতে হবে। সম্রাট প্রতিভাবান পরিচালক। বেশ ভালোলাগা নিয়ে আনন্দের মধ্যে দারুণ একটি কাজ শেষ করলাম। আমাকে নিয়েই তার কাজটি করার প্রবল ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে আর আবেগের কাছে আমি হেরে গিয়ে মন দিয়ে কাজটি করেছি। আমি ভীষণ আশাবাদী চলচ্চিত্রটি নিয়ে। এদিকে ঢাকায় ফিরেই আবুল হায়াত এখানকার নাটকে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেছেন।
আগামী ১২ই জানুয়ারি তিনি নিজের নির্দেশিত ধারাবাহিক নাটক চ্যানেল আইতে প্রচার চলতি ‘তিন পাগলে হলো মেলা’র শেষ লটের কাজ করবেন। এছাড়া তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘যখন কখনো’, ফজলুর রহমানের ‘উল্টোপথে উল্টোরথে’, ভিকে আকাশের ‘কেট হাউজ’, সোলাইমান জয়ের ‘মিরজাফর’, ‘হিমু আকরামের ‘হ্যানিম্যান ও পাঁচ বাদর’ এবং সৈয়দ শাকিলের ‘সোনার শেকল’ ধারাবাহিক নাটকে। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতায় তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত।