parbattanews

আমরা কেন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করবো

বর্তমানে আমাদের সমাজে যেসব অপরাধমূলক কাজগুলো হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। নৈতিক শিক্ষাটি আমরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে গ্রহণ করতে পারি, যা বর্তমান সময়ে বড়ই অভাব। কোনো ধর্মই হিংসা, হানাহানি – মারামারি শেখায় না। ধর্ম শেখায় আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে আর সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টিকে। সকল ধর্মগ্রন্থকে যে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করে, ভালোবাসে তার পক্ষে কোনো অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সকলকে ধর্মগ্রন্থ পড়তে হবে। ধর্ম সম্পর্কে জানতে হবে।

শিশুদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত রাখতে তাদেরকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে, যা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে পাওয়া যাবে। বর্তমান সময়ে অভিভাবকদের তার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ অনেক প্রকার কম। যার ফল ভয়াবহ। সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা না দেওয়ার ফলে তারা বড় হলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়ে যায় এবং পিতা – মাতাকে মূল্যায়ন করেনা। এই ধরণের ঘটনা আমরা প্রতিনিয়ত দেখে আসছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তাই এখন থেকে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সকল শিশুকে এখন থেকে তাদের নিকটস্থ নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে পাঠাতে হবে। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করলেই তারা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।

তাই বলা যায়, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা একদিন সমাজ থেকে ‘ অপরাধ ‘ নামটি মুছে দিতে পারবো।ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবো পুরো সমাজ। সমাজে থাকবেনা কোনো জাতিভেদ, থাকবেনা কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ। আমরা প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারবো।

♦ লেখক: খাগড়াছড়ি থেকে।

Exit mobile version