parbattanews

আরসা কমান্ডার জুনুনীর সাথে যোগাযোগ ছিল শাহ আলীর

মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর সাথে যোগাযোগ ছিল ভাই মো. শাহ আলীর।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অধিনায়ক মোঃ নাইমুল হক।

এর আগে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে অস্ত্র এবং মাদকসহ মো. শাহ আলীকে আটক করা হয়।

নাইমুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় শাহ আলী আটক হন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর ভাই।

তিনি জানান, তাদের নিকট গোয়েন্দা তথ্য ছিল, বড় ধরণের অঘটন ঘটাতে ৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকায় কিছু দুষ্কৃতিকারী অবস্থান নিয়েছে।

ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পরবর্তীতে এখান থেকে ২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় চোখ বাধা অবস্থায় সাদিকুল নামে একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এপিবিএন সদস্যরা।

জিজ্ঞাসাবাদে সাদিকুল জানায়, তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। পরবর্তীতে এখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দেশি অস্ত্র ইয়াবা এবং টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আরসা নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জননীর সাথে মো. শাহ আলীর যোগাযোগ ছিল। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কোন ধরণের অপতৎপরতা আছে কিনা, জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই পর্যন্ত আরসা সদস্যসহ পাঁচ শতধিক দুর্বৃত্ত আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে ব্রাশফায়ারে নিহত হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ মুহিবুল্লাহ। তাকে হত্যায় যারা জড়িত তারা সবাই আরসার সদস্য হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ধরতে ক্যাম্পে মাঝে মাঝেই নানান ধরনের অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই অভিযান অব্যাহত আছে।

Exit mobile version