আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
সংঘাত কবলিত উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের কাছে গ্রাম এলাকায় আরাকান আর্মি (এএ)’র সঙ্গে লড়াইকালে মঙ্গলবার হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। স্থানীয় অধিবাসী ও এএ সূত্র এ কথা জানায়।
বুধবার এএ’র ব্যাটল আপডেটে বলা হয়, বুথিডংয়ের কাছে কান পাইন গ্রামে তাতমাদাও (মিয়ানমার সেনাবাহিনী) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে ওই এলাকায় বোমা ও মেশিনগানের গুলি বর্ষন করা হয়েছে। দুই দফা হামলা চালানো হয। ২৩ জুনের পর এটা ছিলো ওই এলাকায় বড় ধরনের বিমান হামলা।
বুথিডংয়ের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গ্রামটির অবস্থান। এএ’র ওয়েবসাইটে কান পাইংয়ের সংঘর্ষে নিজেদের হতাহত সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে পোন্নগিউন টাউনশিপের কাছে আলাদা এক লড়াইয়ে ১০ তাতমাদাও সেনাকে হত্যার দাবি করে এএ। এরা লাইট ইনফেনট্রি ডিভিশন নং ২২-এর কমান্ডে রয়েছে।
এএ’র একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মাটিতে ব্যাপক হতাহতের শিকার হলেই তারা বিমান হামলা চালায়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন উভয়পক্ষে হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে বুধবার সেনাবাহিনীর কোন বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন তিনি।
জাতিগত বিষয়ের বিশ্লেষক উ মং মং সোয়ে বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার সরকারি বাহিনী ও এএ’র মধ্যে ব্যাপক লড়াইয়ের খবর শুনেছেন। লড়াইয়ে প্রত্যেক পক্ষে ১০০ জন করে সেনা থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুথিডংয়ের এক বাসিন্দা জানান তাতমাদাওয়ের বুথিডংভিত্তিক ব্যাটালিয়ন ৫৫১ বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কামানের গোলাবর্ষণ অভিযান চালায়।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর