আরাকান আর্মির হাতে অপহৃত ৪ জেলের ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী খাল থেকে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি কর্তৃক অপহৃত ৫ জেলের মধ্যে এক জেলের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার হলেও অপর ৪ জনের হদিস মিলেনি ৫ মাসেও।

তারা জীবিত না মৃত তার সন্ধান না পাওয়ায় তাদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। ৫ জেলেকে ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া সীমান্তের মেদাই খাল থেকে গত বছরের ১৪ নভেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আরাকান আর্মির সদস্যরা অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অপহৃত ৪ জেলের পরিবার এখনো আশায় রয়েছেন ফিরে আসবেন। তাই অনিশ্চয়তার পথ চেয়ে বসে আছে ৪ জেলের পরিবার-পরিজন।

অপহৃতরা পালংখালী ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা আনজুমান পাড়া এলাকার জিয়াবুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদের ছেলে লুৎফর রহমান (২২), মন্জুর আলমের ছেলে মো. ইউসুফ ও আব্দুল্লাহ’র ছেলে ইউসুফ জালাল বলে জানা গেছে।

অপহৃত জেলেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ সালে পালংখালীস্থ আনজুমান পাড়া সীমান্তের মেদাই খালে জীবন-জীবিকার তাগিদে মাছ ধরতে গেলে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়। আটকের দুদিন পর অপহৃত জেলেদের মধ্যে ছৈয়দুল বশরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ভাসমান অবস্থায় নাফনদীর উপশাখা মেদাই খাল থেকে উদ্ধার পরবর্তী তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন উখিয়া থানা পুলিশ। আরাকান আর্মিদের এহেন কর্মকাণ্ডে দিনদিন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে উখিয়া, টেকনাফের সীমান্ত ঘেষা বাসিন্দারা।

এদিকে অপহৃত ৪ জেলের স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। আরাকান আর্মির কাছ থেকে সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করেছেন অপহৃতের পরিবার।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ৫ মাস পূর্বে আনজুমান পাড়ার ৫ জেলে খালে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়। দুই দিন পর এক জেলের লাশ পাওয়া গেছে। অনেক চেষ্টা করেও বাকী ৪ জনকে ফেরং আনতে পারি নাই।

তিনি আরো বলেন, রাখাইন রাজ্য মিয়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সাথে পতাকা বৈঠকও করতে পারছে না! অপহৃত ৪ জেলেকে রাখাইন থেকে ফেরৎ আনতে স্বজনরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, উখিয়া ৬৪ ও টেকনাফ ২ বিজিবির কার্যালয়ে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

এ সংক্রান্তে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চচৌধুরী বলেন, আরকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়া ৪ জেলে এখনো ফিরে নাই সেটা অবগত আছি। সীমান্ত পরিস্থিতি দেখার জন্য আলাদা বাহিনী আছে। যদি, অপহৃতদের পরিবার জিডির কপিটা বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে দেয়, তাহলে তারাই দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘুমধুম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন