parbattanews

আলাদীনের চেরাগে ধরা পড়লো মোটরসাইকেল চোর

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাস স্টেশনের আরাফাত শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের চোর শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মো. হোসেন। সে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ মুহুরিপাড়ার সিরাজের ছেলে বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। এ সময় তার হাতে পাওয়া গেছে চোরাই কাজে ব্যবহারের তিনটি চাবি।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে আরাফাত শপিং কমপ্লেক্সের নীচ তলার ‘আলাদীনের চেরাগ’ এর সিসি ক্যামেরার ফুটেজের চোর ধরা পড়ে। মোটরসাইকেলের মালিক কক্সবাজার সদরের পোকখালীর নাইক্ষ্যংদিয়ার বাসিন্দা হাফেজ মো. রমজান আলী।

গত ২৫ এপ্রিল সকালে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। তবে, চোর ধরা পড়লেও চোরাই মোটরসাইকেলটি এখনো উদ্ধার হয়নি। ধৃত চোরকে ঈদগাঁও থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ভুক্তভোগিরা।

বিভিন্ন জনের অভিযোগের সূত্র ধরে ধৃত চোরকে নিয়ে অভিযানে যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কিভাবে চোর শনাক্ত হলো-
আলাদীনের চেরাগের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদুল আলম বলেন, বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে আমার দোকানের একজন কর্মচারী আমাকে জানায়, ২৫ এপ্রিল দুপুরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাথে মিল আছে এমন একজন ব্যক্তি দেখেছে। আমি দোকান থেকে বের হলাম। ঈদগাহ বোর্ডিং এর সামনে থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ডেকে দোকানে আনি। কথা বলে আমারও সন্দেহ ঘনীভূত হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রথমে মোটরসাইকেল চুরির কথা অস্বীকার করে। পরে সিসি ক্যামেরার সামনে বসিয়ে তার চুরির দৃশ্য দেখালে স্বীকার করতে বাধ্য হয়।

চোরের স্বীকারোক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী বোঝা গেল, সে পাকাপোক্ত চোর। যতবারই এসেছে, প্রতিবার ফুটেজে তাকে একাই দেখা গেছে। সঙ্গে অন্য কাউকে দেখা যায় নি। এমনকি কারো সাথে কথাও বলে নি।

ধৃত চোরের নিকট ৩টি নকল চাবি পাওয়া যায়, সেগুলো শুধুমাত্র ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহার হয়।

ফরিদুল আলম বলেন, গত ২৫ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে আমার সাথে যোগাযোগ করেন মোটরসাইকেল মালিক হাফেজ মো. রমজান আলী। চোরকে শনাক্তের জন্য অনুরোধ করেন।

আলাদীনের চেরাগের সিসি ক্যামেরার কারণে চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ইতোপূর্বে আরও কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত হয়।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সর্বোচ্চ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ক্যামেরা বসানো হবে। পুরো ঈদগাঁওকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

গত ১০ দিনে ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকা থেকে অন্তত ৭টি ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে, যেগুলোর মালিকগণ ফরিদুল আলমের আলাদীনের চেরাগের সাহযোগিতা চেয়েছে। চোরাই মোটরসাইকেলসমূহ উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে জানিয়েছেন ফরিদ।

এদিকে, ধৃত চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তার নাম মো. হোসেন। পিতা সিরাজ। মাতা রশিদা। ঠিকানা-দক্ষিণ মুহুরিপাড়া, বিসিক, ঝিলংজা, কক্সবাজার। টমটম চালাতো। পরে স্পেশাল সার্ভিসে চাকরি নেয়। তার দুই ভাই রাজমিস্ত্রি কাজ করে।

সে আরও জানায়, খরুলিয়া দরগাহ এলাকার তারেক নামক একজনের কথায় ৭০০০ টাকায় চুক্তিতে মোটরসাইকেলটি নেয়। বুধবার সকালে চুক্তির টাকার জন্য তারেকের সাথে দেখা করতে ঈদগাঁও বাজার আসে। তারেকও চোর। এর বেশি বিস্তারিত বলতে পারেনি ধৃত চোর মো. হোসেন।

Exit mobile version