আলীকদম প্রতিনিধি:
আলীকদম উপজেলা সদরের অনতিদূরে খরস্রোতা মাতামুহুরীর পাশ ঘেঁষে সেগুনকুঞ্জবিথীকায় এগিয়ে চলেছে এংখ্যাং রিসোর্টের নির্মাণ কাজ।
এ উপজেলাকে পর্যটনবান্ধব করতে এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে এংখ্যাং রিসোর্ট। উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘেরা ওয়াইহ্লা কার্বারী পাড়া ও বণিক পাড়া সন্নিহিত মাতামুহুরী নদীর কুলঘেঁষে পাহাড়ের ঢালে এংখ্যাং রিসোর্টের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রিসোর্টের জন্য নির্বাচিত স্থানটি খরস্রোতা মাতামুহুরীর তীর ঘেঁষে একটি পাহাড়। এখান থেকে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত গ্রন্থিল পাহাড় আর মাতামুহুরী নদীর পাশে সবুজাভ বন।
রিসোর্ট এলাকাটি মার্মা ও বাঙ্গালী বসতির মাঝামাঝি স্থানে। যেখানে বিরাজ করে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর বর্ণিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আবহ।
রিসোর্ট নির্মাণে উদ্যোক্তাদের একজন সাংবাদিক আল-ফয়সাল বিকাশ জানান, আলীকদম উপজেলার ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমাদের এ রিসোর্টের নামকরণ করা হয়েছে এংখ্যাং রিসোর্ট’। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই রিসোর্টের ৪টি কটেজ ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে কটেজের সংখ্যা’।
স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মাহমুদ বলেন, রিসোর্টের জন্য নির্বাচিত স্থানটি তাদের পৈত্রিকসূত্রে বন্দোবস্তিপ্রাপ্ত একটি পাহাড়। সেখানে সৃজিত রয়েছে সেগুন বাগান। উদ্যোক্তাদের সাথে আমিও একাত্ম হয়ে চুক্তিভিত্তিক রিসোর্ট পরিচালনায় আবদ্ধ হয়েছি।
রিসোর্টের উদ্যোক্তাদের একজন আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানান, আলীকদমে এ পর্যন্ত কোন আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেনি। সরকারিভাবে রেস্ট হাউজ সুবিধাও তেমন নেই। তাই আমরা পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি।
পরিকল্পনামতে অগ্রসর হতে পারলে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঝমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এংখ্যাং রিসোর্টের উদ্বোধন করা হবে। এরপর সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। বিশেষ করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আমাদের রিসোর্ট থেকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।